এসআলমসহ তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ভোক্তা অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা তলব

সাইফুল ইসলাম ::

ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ না থাকা, তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ শাখা বন্ধ থাকাসহ নানা অনিয়মের ব্যাখা দিতে এস আলম গ্রুপসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

১৩ মার্চ চট্টগ্রামের মইজ্জার টেকে এস আলম এডিবল অয়েল মিল পরিদর্শনকালে নানা অনিয়ম দেখতে পায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ৫ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা লেখা, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।

এসব অনিয়ম পাওয়ার পর রবিবার (২৭ মার্চ) আবারও দ্বিতীয় বার পরিদর্শন করা হয় কারখানাটি। পরিদর্শনে দেখা যায় সরবরাহ আদেশ বা এসওতে একক মূল্যের উল্লেখ নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে এসওগুলো কারখানায় আসার আগে হাতবদল হচ্ছে। তাই জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া টি কে গ্রুপ, ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল (রূপচাঁদা ব্র্যান্ড) কারখানাতেও অনিয়ম পায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর । তাই প্রতিষ্টান তিনটির চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ব্যাখা চেয়ে কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টায় তলব করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর  সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে এস আলমের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে টিকে গ্রুপের কারখানাযতে ২৮ মার্চ ( সোমবার) ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম মনিটরিং করার সময়ও দেখা যায়, কোম্পানি ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৩৭১ টন পাম তেল বিপণন করলেও মার্চে কমে ২১ হাজার ১১৯ টনে নেমেছে। এভাবে তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩০ মার্চ টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জবাব দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রবিবার (২৭ মার্চ) নারায়নগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কারখানাও মনিটরিং করা হয়। এ সময় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে রূপচাঁদা ব্রান্ডের কারখানায় ১৪ হাজার ৩৮ টন তেল সরবরাহ করা হলেও মার্চে ৮ হাজার ২৬৩ টনে নেমে আসে। উল্লেখযোগ্যহারে কমে যাওয়ায় প্রতিষ্টানটির চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জবাব দেওয়ার জন্য ৩০ মার্চ কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।