চসিকে প্রকল্প পরিচালককে মারধর
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজন আটক

বাংলাদেশ মেইল ::

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানিকে মারধরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে দশ জনের নামউল্লেখ করে চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন হামলার ঘটনায় মামলা করেন। রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত কন্কন, সুভাষ, ফেরদৌস, মাহমুদউল্লাহ নামের চারজনকে আটক করে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন– চসিকের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস জে ট্রেডার্সের সাহাব উদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্লাহ খান, মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের ইউসুফ, জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ বাবু এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের ফরহাদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রবিবার বিকালে চসিকের টাইগার পাস বাটালী হিলের অস্থায়ী কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীর ৪১০ নম্বর কক্ষে আসামিরা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন। তারা লোহার রড ও অন্যান্য দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘চসিক কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

চসিকের প্রকল্প কর্মকর্তা গোলাম ইয়াজদানী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী। গত বছরের ১৪ আগস্ট তাকে আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের পরিচালক পদে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে প্রকল্প পরিচালক করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও সেটি গ্রহন করা হয় নি। গোলাম ইয়াজদানির নিয়োগের পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা ক্ষুব্ধ হন। সুত্রমতে, নিজেদের ইচ্ছামতে প্রকল্পের কাজ বিক্রি করতে বাধাগ্রস্ত হবার কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কিছু প্রকৌশলী প্রকল্প পরিচালকের উপর এই হামলার ইন্দন দিয়েছেন।