শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
থার্ড টার্মিনাল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বিদেশী এক ডজন এয়ারলাইন্স

বাংলাদেশ মেইল ::

ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেথার্ড টার্মিনাল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বিদেশী এক ডজন এয়ারলাইন্স। ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। তবে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পুরোপুরি চালু হলেই থার্ড টার্মিনালে আগামী বছরের ডিসেম্বর থেকে আগ্রহী বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে।

তবে,  এক ডজনেরও বেশি এয়ারলাইন্স আগ্রহ প্রকাশ করলেও মাত্র একটি এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটা হলো- আফ্রিকার শীর্ষ এয়ারলাইন্স ইথিওপিয়া এয়ার।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন যে দুটি টার্মিনাল আছে, সেগুলোর যাত্রী ধারণক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি। অ্যাপ্রন বা পার্কিং এলাকায় একসঙ্গে রাখা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ। ভেতরে যুক্ত হবে নতুন ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১১টি বডি স্ক্যানার আর ১৬টি লাগেজ বেল্ট।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেছেন, অনেকেই চেয়েছে এ বছর থেকেই ফ্লাইট চালু করতে। কিন্তু বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যে চাপ সেখানে এতগুলো এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট দেওয়া সম্ভব নয়। শুধু ইথিওপিয়া এয়ারকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা অনেক আগে থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চলতি মাসেই ইথিওপিয়ার সঙ্গে এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট চুক্তি করতে ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। সেই চুক্তি হয়ে গেলেই তারা যে কোনো মুহূর্তে ফ্লাইট চালু করতে পারবে।

উল্লেখ্য,  আগামী ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল আংশিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে দৈনিক ১১ হাজার শ্রমিক দিবরাত্রি কর্মরত এখানে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

বিশ্বমানের থার্ড টার্মিনালের ওপর এরই মধ্যে বিদেশী এয়ারলাইন্স বেশ আকৃষ্ট। তারা আশাবাদী এটা চালু হলে ঢাকা হবে অন্যতম বাণিজ্যিক এভিয়েশন হাব। সেভাবেই বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো তাদের জোর আগ্রহ নিয়ে বেবিচকে দৌড়ঝাঁপ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশপথের বাণিজ্যিক যোগাযোগে তাদের এই আগ্রহকে বড় ধরনের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি হিসেবে দেখছেন দেশের ্এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম। তিনি বলেন, থার্ড টার্মিনাল চালু হলে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে এভিয়েশন খাতে। ক্রমবর্ধমান এই সেক্টর তখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। এমনিতেই আমাদের এভিয়েশন এখনো যথেষ্ট গতিশীল। কারণ পৃথিবীর ১৭২টি দেশে ১ কোটির বেশি প্রবাসী ও শ্রমিক বৈধভাবে কাজ করছেন। সেসব শ্রমিকদের দেশে আনা- নেওয়া করার জন্য পর্যাপ্ত ফ্লাইট নেই বাংলাদেশের দুটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো।

বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮টি বিদেশী এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এগুলো হচ্ছে- এমিরেটেস, এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার এশিয়া, ভিস্তারা বাটিক এয়ার, ক্যাথে প্যাসিফিক, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স, চায়না সাউদার্ন, ড্রুক এয়ার, ইজিপ্ট এয়ার, ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ, ফ্লাই দুবাই, গালফ এয়ার, হিমালয়া এয়ারলাইন্স, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স, জাজিরা এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, মালদ্বিভিয়ান, ওমান এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, সালাম এয়ার, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ, টার্কিশ এয়ারলাইন্স, পিআইএ, উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজ, সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও রিয়াদ এয়ার।