নির্বাচনে ভোটার আনা নেয়া
পরিবহন সুবিধা দিতে পারবেন না প্রার্থীরা

বাংলাদেশ মেইল  :::

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের বহনের জন্য প্রার্থীরা যানবাহন ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। এতে বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত ৪০০ গজ চৌহদ্দীর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশে পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা ঐরূপ কোনো প্রকার প্রচারপত্র থাকলে তা ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই সরিয়ে ফেলতে হবে। কেউ যেন ভোটের জন্য ক্যানভাস না করতে পারেন বা কাউকে ভোটদানের জন্য উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করতে না পারেন, সেই দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং সমর্থকগণ যাতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনয়নের জন্য কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করতে না পারেন অথবা আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করেন সে বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলো উল্লেখ করে সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয় ভোট কেন্দ্র হিসেবে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষের মধ্যে একাধিক ভোট কক্ষ স্থাপন করা সমীচীন নয়। কারণ তাতে ভোটারদের নির্ধারিত ভোট কক্ষে ভোটদানে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে ভোট কেন্দ্রের পরিসর এবং ফলস্বরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একাধিক ভোট কক্ষে স্থাপন করা হয় তাহলে প্রত্যেক ভোট কক্ষের অবস্থান বা এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চট বা চাটাই অথবা অন্য কোনো বস্তু দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করতে হবে। যাতে এক ভোট কক্ষ থেকে অন্য ভোট কক্ষের মধ্যে যাতায়াত করা না যায় বা কথাবার্তার আদান-প্রদান করা সম্ভব না হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।