নিজস্ব প্রতিবেদক :::
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পি আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের প্রয়াত জননেতাদের কবর জেয়ারত ও মুনাজাত শেষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এসময় তিনি প্রয়াত নেতৃবৃন্দের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন জননেতারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কঠিন ত্যাগ তিতিক্ষায় নিবেদিত ছিলেন। তারা কোনদিন অন্যায় ও অসত্যকে পরোয়া করেননি এবং প্রতিকূল সময়েও পরাভব মানেননি। এই পরীক্ষিত জননেতারা শুধু চট্টগ্রাম নয় সারা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদ। এদেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রীক, অসম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁরা সচেষ্ট ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে পরীক্ষিত এই জননেতারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তাদের পথধরেই আমাদেরকে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ৭১’র পরজিত শক্তি ও তাদের বিদেশী প্রভুরা অতীতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, এখনো করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং বাংলার মাঠিতেই ষড়যন্ত্রকারীদের কবর রচিত হবে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগরী আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এদেশে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, জনগণেরও বিজয় হয়েছে এবং শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ৪বার ও মোট ৫ম বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশের মর্যাদা ও সম্মানকে যে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন তাতেই ঈর্ষান্বিত দেশি- বিদেশি চক্রান্তকারীরা এখনো নানামুখি ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করছে। এই বীজ সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার করা মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগগুলো উত্থাপন করার পরও জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দিত করেছেন। আমেরিকাসহ কিছু পশ্চিমা দেশ আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নাক গলাতে গিয়ে তারা নিজেরাই ধরাশাহী রয়েছেন। টিআইবি নামক একটি এনজিও সংগঠন তাদের কথিত গবেষণালদ্ব প্রতিবেদনে যে কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করেছে তা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এই ভূইফোঁড় প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃতিঅর্থেই বিএনপির একটি অঙ্গসংগঠন। এদের মুখোশ উন্মোচন করার সময় এসেছে।
প্রয়াত জননেতা মরহুম এম.এ আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, এম.এ হান্নান, আতাউর রহমান খাঁন কায়সার, ইসহাক মিয়া, এম.এ মান্নান, এম.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইনামুল হক দানু’র কবর জেয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদনকালে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পির সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এম.পি নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনের এম.এ লতিফ এম.পি, উপ প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ, আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা: সেলিম আকতার চৌধুরী, এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।
