মৃত্যুশয্যায় স্বামী : অর্থ আত্মসাতের চেষ্টায় স্ত্রী! থানায় স্বামীর অভিযোগ

    পটিয়া প্রতিনিধি : পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে ২টি কিডনি প্রায় নষ্টের পথে স্বামী ফরিদুল আলমের। মৃত্যু অবধারিত মনে করে বিশ্বাস করে ইতিমধ্যে নিজের সকল সম্পত্তি ও টাকা পয়সা তার স্ত্রীর নামে দিয়ে দেন স্বামী ফরিদ।

    তবে স্বামী মারা যাওয়ার আগেই স্ত্রী এসব সম্পত্তি ও টাকা পয়সা ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী ফরিদুল আলম বাদী হয়ে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

    অভিযোগে জানা যায়, ফরিদুলের কিডনি পয়েন্ট ইলেভেন পার্সেন্টে নেমে আসায় তার নগদ অর্থ থেকে শুরু করে সকল সম্পত্তি স্ত্রী মর্জিনা বেগমের নামে করে দেন। স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, বিল্ডিংসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি স্ত্রীর কব্জায় আসায় তা আত্মসাত করতে বর্তমানে স্বামীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

    জানা গেছে, উপজেলার ফরিদুল আলম কুসুমপুরা ইউনিয়নের মৃত জোবায়ের আহমদের পুত্র। সম্প্রতি ফরিদের দু’টি কিডনি নষ্টের পথে। ফরিদ অসুস্থ হওয়ায় ২২ লাখ টাকা ১৫ ভরি স্বর্ণলংকার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে দেন।

    ফরিদুল আলম জানায়, চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি তার টাকার প্রয়োজন হলে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে রক্ষিত টাকাগুলো চেয়ে বসেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে কোন টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে স্ত্রী মর্জিনা বেগম।

    গত ১ এপ্রিল পটিয়া থানায় স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও পুত্র জাহেদুল ইসলাম জোনায়েতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে ফরিদুল আলম। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে স্ত্রী মর্জিনা বিভিন্ন মারফতে তাকে মারধর এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন ফরিদুল।

    এ বিষয়ে জানতে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দীন ফারুকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্ত্রী স্বামীকে ভয়ভীতি দেখানো সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তপূর্বক বিষয়টি ভালো করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    বিএম/সঞ্জয় সেন/রাজীব..