স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বর্ষবরণ

    স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বর্ষবরণ

    প্রবাস মেইল : সুইডেনে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীদের সঙ্গে নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর নাচ-গান-কবিতায় নতুন বছর ১৪২৬’কে স্বাগত জানিয়েছে স্টকহোম দূতাবাস। নতুন বছরের আগমনী আনন্দের সূর সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে রবিবার দূতাবাস চত্বর ডালা-কুলা, মুখোশ, রং-বেরঙের ঘুড়ি ও বাহারী উপকরণ দিয়ে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাজে সাজানো হয়।

    সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সুইডেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। বক্তব্যের সূচনায় তিনি বাংলা নববর্ষের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

    পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান উৎসব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ মূলত বাঙালি জাতির ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে অপরাজেয় শক্তি ও মহিমায় পূর্ণ করার উৎসব, সকল কুসংস্কার ও কুপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করবার প্রেরণার উৎস।’

    তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেসকোর অবিশ্বাস্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে ঋদ্ধ করে তোলার পেছনে এর ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরেন।

    তিনি প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীদেরকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে আহবান জানান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মননে বাংলা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বীজ বপনের জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

    সাংস্কৃতিক পর্বে প্রবাসী শিল্পী ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের মনোমুগ্ধকর নাচ, গান ও কবিতা পরিবেশনা আগত অতিথিদের মুগ্ধ করে। ‘সাত ভাই চম্পা’ গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করে ছোট্ট আজরীন চৌধুরী। কবিতা আবৃত্তি করেন এনামুল হক ও রোমানা আক্তার। দেশীয় গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন পুলক নন্দী, শিপ্রা নন্দী, কাকন আক্তার, নাফিস মালিক, মাজহারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ থেকে আগত ‘ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম’-এর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর আরহাম চৌধুরী।

    সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার ও মিষ্টান্ন সামগ্রী। খাবারের তালিকায় ছিল বাঙালির প্রিয় পান্তা-ইলিশ, খিচুড়ি, বিভিন্ন পদের মাংস, হরেক রকম ভর্তা, দেশীয় কয়েক পদের পিঠা-পুলি, মিষ্টান্ন ইত্যাদি। আগত সকলেই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তাঁদের প্রবল উচ্ছাস প্রকাশ করেন এবং প্রাণভরে অনুষ্ঠান ও দেশীয় সব খাবার উপভোগ করেন।