ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি জাবেদ বন্ধুকযুদ্ধে নিহত : ওসি গুলিবিদ্ধ

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন সোহেল গণপিটুনীতে নিহত হওয়ার পর পরিবারের দায়ের করা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি জাবেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।

    পুলিশের দাবী তাকে গ্রেফতার করতে গেলে তার বাহিনীর সাথে পুলিশের বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনায় সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

    সোমবার রাত পোণে ১২টার সময় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার জাম্বুরি পার্কের কৃষি অফিসের পিছনে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।

    ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ

    বন্ধুকযুদ্ধে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সদীপ কুমার দাশ ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ ও বাম হাতের কনুইতে আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে সোহেল হত্যার এজাহার নামীয় সন্দেহভাজন আসামী জাবেদের অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার অভিযানে যায় ওসি সদীপের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।

    এসময় জাবেদ ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখান থেকে জাবেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ওসি সদীপ কুমার দাশ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

    এ অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের খোয়া যাওয়া একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্রশস্ত্র এবং ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তথ্য জানিয়েছে পুলিশের একাধিক সুত্র।

    তবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাবেদ সরাইপাড়া কাউন্সিলর সাবের আহমদের শ্যালক নয় বলে জানা গেছে।

    এর আগে গত ৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে সোহেলের মৃত্যুর পর স্থানীয় ব্যবসায়িরা তাৎক্ষনিকভাবে জানিয়েছে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে সোহেলের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে গণপিটুনীর ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নিহত সোহেলের পরিবার দাবি করে এলাকার মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

    সেদিন রাতেই নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ১৭৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাহাড়তলি রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কমিশনার সাবের আহমেদ সওদাগর এবং ওই ব্যবসায়ি সমিতির সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

    এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ওসমান খানসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বিএম/রাজীব..

    আরো : চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল খুন : আরো ৪ আসামি গ্রেফতার