বাজেট নিয়ে কেউ ভালো কথা বললে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়া। এজন্য আমরা যা করছি, তা কারও ভালো লাগবে, কারও লাগবে না। কিন্তু, বাজেট নিয়ে কেউ ভালো কথা বললে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব।

    শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

    বাজেট নিয়ে সিপিডিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমালোচনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু মানুষ আছে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। তারা সবকিছুতেই সমালোচনা করবে। এরা কী গবেষণা করে জানি না। গবেষণা করে দেশের জন্য কিছু আনতে পারল কিনা জানি না। এরা এত সমালোচনার পরেও আবার বলবে আমরা তাদের কথা বলতে দেই না।’

    তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয়, আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটা বড় বাজেট দিতে পারলাম। দেশের উন্নতি, দারিদ্র্য মুক্তি ও স্বাধীনতার সুফল যেন সব মানুষ ভোগ করতে পারে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর এসব কারও ভাল লাগল কিনা, তা ধর্তব্য না।’

    আরেক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সুশাসন দেখতে চাই। এই বাজারকে বিকশিত করতে চাই। এজন্য পুঁজিবাজারে প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট হার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে। বাড়লেও যেন সেটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেজন্য সব ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করলে টনপ্রতি শুল্ক ২ হাজার টাকার বদলে ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর পরিশোধিত চিনি আনলে কেজিপ্রতি ৪ টাকার বদলে কর দিতে হবে ৬ টাকা। এর বাইরে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বেশি চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়। এজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

    এর আগে বাজেট নিয়ে সূচনা বক্তব্যের শেষদিকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী তার প্রথম ও নতুন বাজেট দিবেন, বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু, তিনি অসুস্থ। তার সুস্থতার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে সাবেক অর্থমন্ত্রী (আবদুল মাল আবদুল মুহিত) আছেন। আমাদের শক্তি যোগাতে তিনি এসেছেন, এটা আমাদের জন্য একটা ভালো বিষয়।’

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত আছেন— সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    তিনি অসুস্থ থাকায় কিছুটা বাজেট বক্তব্যের পর বাকিটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পড়ে শোনান। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করলেন।

    বিএম/এমআর