ধর্ষণ, ইভটিজিং ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে অক্সিজেনে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    দেশজুড়ে অব্যাহত ধর্ষণ, ইভটিজিং ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাস্থ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সুশৃঙ্খল ও সফল ভাবে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো অক্সিজেন চত্বর।

    মঙ্গলবার (১৬জুলাই) সকালে বায়েজিদ থানস্থ বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর সামনে জড়ো হন কয়েক শত সাধারণ শিক্ষার্থী।

    এ সময় ধর্ষণ বিরোধী নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। জনদূর্ভোগবীহিন শান্তিপূর্ণ ভাবে এহেন মানববন্ধণের প্রশংসা করছে প্রশাসন সহ সাধারণ জনগণ।

    প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ চাই’, ‘ধর্ষণের আইন, ফাঁসি চাই’- এই ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

    সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিও তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে রয়েছে- সকল ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ করে অবিলম্বে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এমনকি এলাকাতেও ইভ টিজিং, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ঠেকাতে সামাজিক টিম গঠন, যেকোনো বয়সী নারী কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা। এর পাশাপাশি রাস্তাঘাটে ইভ টিজিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা, এক মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করা, উচ্চ আদালতে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করা। এছাড়া আক্রান্ত নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া, আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আক্রান্ত নারী অথবা তার পরিবারকে দেওয়া এবং ধর্ষক-হত্যাকারীর আইনি সুযোগ পাবার অধিকার নিয়ন্ত্রণে রাখা।

    মানববন্ধনে বায়েজিদ থানা ছাত্র প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন জুবায়ের বলেন,ধর্ষক যেই হোক না কেন তার কোন পরিচয় থাকতে পারে না। তার পরিচয়, সে সমাজের বিকৃত মস্তিষ্কের নিকৃষ্টতম কীট।আমাদের আন্দোলন এই কীটসমাজের বিপক্ষে।আইনের ফাঁকফোকড় এর সাহায্যে যাতে কোন ধর্ষক রেহায় পেয়ে না যায়,আর যাতে কোন নারী ধর্ষিতা না হয় সে নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন।

    এসময় তিনি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সকল ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে ছাত্রসমাজের প্রতি অনুরোধ জানান।

    উক্ত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন,কাজেম আলী কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি এ.এইচ সজিব,মাঈনুদ্দিন রিদয়,রিদুয়ান হাসান। কুঁলগাও কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি মুহাম্মদ রেজভী,ইমু আয়ান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান অভি,ইয়াসিন আরাফাত,ফতেয়াবাদ কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি রিয়াজুল আসিফ,চট্টগ্রাম মডেল কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি তানভীর হায়দার অভি,পাঁচলাইশ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিনিধি ফয়সাল হাসান নওশাদ,আবরান সায়্যেদ সহ প্রমুখ।

    এসময় অতি দ্রুততার সাথে ছাত্র সমাজের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের সহায়তা কামনা করে মানববন্ধন শেষ করা হয়।

    বিএম/এমআর