টেকনাফে একরাতেই পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জাদিমোড়া এলাকায় পুলিশ-বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পৃথক ঘটনায় নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোড়া নাফনদী সীমানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের সাথে গোলাগুলির পৃথক ঘটনায় এরা নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহতরা হলেন, টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া এলাকার ছমিউদ্দিনের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩২), চাদঁপুর দক্ষিণ সতলব উপজেলার চরমুকুন্দী এলাকার মো: রেজোয়ান সওদাগরের ছেলে মো: আসমাউল সওদাগর (৩৫) ও যশোর জেলার কোতয়ালী উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার মো: জব্বার আলীর ছেলে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাসকারী মো: জাবেদ মিয়া (৩৪)।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল ফায়সাল হাসান খান জানান গোপন সংবাদে জানতে পারি একটি ইয়াবার বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ১৬ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে দিকে বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা জাদিমোড়া সংলগ্ন সিকলপাড়া এলাকায় একটি গোপন জায়গায় অবস্থান নেয়। এরপর মাদক পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কোন কিছু না বুঝার আগেই এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে।

    আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণ করা হয়। নিহত দুই যুবক হচ্ছে,চাঁদপুর জেলার চরমুকুন্দী এলাকার মোঃ রেজোয়ান সওদাগরের পুত্র মোঃ আসমাউল সওদাগর(৩৫), যশোর জেলার কোতয়ালী থানার বসুন্দিয়া এলাকার মোঃ জাব্বার আলীর পুত্র মোঃ জাবেদ মিয়া(৩৪)।

    তিনি আরো জানান উক্ত ঘটনায় বিজিবি ৩ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হচ্ছে,সিপাহী মতিউর রহমান,ইমরান হোসেন ও মোঃ রেজাউল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র,ও ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। লাশ ২ টির ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    এদিকে (১৭ জুলাই ) বুধবার ভোরে উপজেলার জাদিমোরা সংলগ্ন শিকল ঘেরা পাহাড় এলাকায় পুলিশের সাথে মাদক কারবারীদের গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণের পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে অস্ত্র ইয়াবাসহ ছমি উদ্দিনের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩২) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

    এছাড়া সকাল ৮টায় হ্নীলা রঙ্গিখালী পাহাড় হতে গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ থাকা স্থানীয় মৃত আব্দু সাত্তারের পুত্র ৭ সন্তানের জনক আবুল হাশেম (৫০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।

    বিএম/ইসলাম/আরএস..