বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর, নিহত ৬

    ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি রয়েছে এবং অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ কাশ্মীরিরা। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ছয় কাশ্মরি। আহত হয়েছে বহু লোক।

    বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শ্রীনগর, পুঞ্চ, কার্গিল, কুপওয়ারায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ শতাধিক লোককে।

    এদিকে, ইন্টারনেট, মোবাইল, এমনকি ল্যান্ডলাইনও বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীরের সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগ প্রায় নেই। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের উপরে কড়া নজর রাখছে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী।

    পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে বুধবার কাশ্মীরে হতাহতের খবর জানানো হয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক যুবক ঝেলাম নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছেন।

    গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর ভারতীয় সেনাবাহিনী বুলেট, টিয়ারগ্যাস এবং গোলাবারুদ নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং বারামুলা।

    পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বিবিসি এবং রয়টার্স জানিয়েছে, কাশ্মীরিরা এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। নিউ ইয়র্কের প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে কাশ্মীরকে বর্তমানে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের হটাতে ফের ছররা বন্দুকের ব্যবহার করেছে আধাসেনা। ছররার আঘাতে শ্রীনগরের হরি সিংহ হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ডজনখানেক বিক্ষোভকারী। যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন দৃষ্টিশক্তি হারানোর মুখে বলে জানা গিয়েছে।

    কাশ্মীরি সাংবাদিক আদনান বাট বুধবার টুইটে দাবি করেছেন, ছররা গুলির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি একাদশ শ্রেণির ছাত্র আজ়রার খান। হাসপাতালে জখম ছাত্রের ছবিও টুইট করেছেন তিনি। আদনানের দাবি, প্রাণে বাঁচলেও আজ়রারের দু’টি চোখই নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

    বিএম/এমআর