ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় ভয়ে চিকিৎসা নিতে পারছে না একই পরিবারের তিন সদস্য

    বাংলাদেশ মেইল ::

    আড়াই বছরের এক শিশুসহ ঠাকুরগাঁওয়ে একই পরিবারের তিনজন ‘জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়’ আক্রান্ত হলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা চিকিৎসা নিতে পারছে না  ।

    শনিবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী গণমাধ্যমকে একথা জানান। তিনি বলেন  , আড়াই বছরের শিশুসহ স্বামী (৩০) ও স্ত্রী (২৪) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

    এর আগে দুপুর আড়াইটায় ওই অসুস্থ্ ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বলেন, শরীরে জ্বর নিয়ে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেক্স ট্রেনে উঠি। শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নেমে বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর শরীরে জ্বরের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। একই সমস্যা আমার স্ত্রী ও ছোট্ট শিশু সন্তানেরও দেখা দিয়েছে।

    ঢাকার এ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী জানান, ১৩ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের আয়োজনে মাদারীপুরে পিকনিকে গিয়েছিলেন তিনি।

    অসুস্থ্ ওই ব্যক্তি বলেন, আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানের সবারই প্রচণ্ড বুকের ব্যথা। ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছি না।
    অন্যদিকে, এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় গ্রামবাসী তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলেও জানান তিনি।

    স্থানীয় চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, আক্রান্ত তিনজনকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়।  কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক যখন শোনেন-তারা জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তখন তিনি আর রোগীদের গাড়িতে তোলেননি। এছাড়াও আক্রান্তদের অন্য যানবাহনে করে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি ।

    তবে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তারা অসু্স্থ্ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক নির্দেশনা দিয়ে এসেছে। রোগীদের জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট আছে প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন কিছুই জানেন না। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।