প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ করবেন না, কাজের গতি বাড়াতে সিডিএসহ সংশ্লিষ্টদের তাগিদ
চট্টগ্রাম মেইল : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক, তিনি চট্টগ্রামকে খুব ভালবাসেন। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার চাইতেও চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি বেশি ফান্ড বরাদ্ধ দিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর পরিশ্রম করছেন। তাকে হতাশ করবেন না। দেশের স্বার্থে তার সম্মানার্থে কোন অবস্থাতেই উন্নয়ন কাজ যেন স্থবির না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম চট্টগ্রাম সফরে এসে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্যদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। প্রথমবার চট্টগ্রাম সফরে এসে সিডিএ’র বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোডসহ কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রামে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে মতবিনিময় সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামে আসার আগে সচিব সাহেবের কাছ থেকে সিডিএ’র (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কর্মকান্ড নিয়ে ধারণা পেয়েছি। সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালামের সাথেও ঢাকায় একাধিকবার বৈঠক হয়েছে, কথা হয়েছে। সে ধারণা থেকে আরো বেশি প্রত্যাশা করছি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আরো দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। প্রকল্পের ধীরগতি কিংবা অবহেলা করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন, আধুনিক শহর বিনির্মানে কোন অজুহাত শুনতে চাই না। কোনো অজুহাতে উন্নয়ন প্রকল্প থমকে থাকবে, গতি স্থিমিত হয়ে যাবে আর চট্টগ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে, তার দায়ভারটা সরকারের বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরেই পড়বে-এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিডিএকে কাজের গতি বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কাজের গতি বাড়াতে গিয়ে যদি কোনো প্রতিকূলতা থাকে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা আপনাদের দেওয়া হবে।
শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য মন্ত্রনালয় এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, সিডিএ, সিটি করপোরেশ, আলাদা প্রতিষ্ঠান হলেও সকলের লক্ষ্য থাকবে একটাই। সবার চিন্তা করতে হবে- সবার আগে উন্নয়ন। আমরা সবাই সরকারের অংশ। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের সংশোধন করতে হবে, মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। যার যে দায়িত্ব, নিষ্ঠার সাথে, সততার সাথে তা পালন করতে হবে। যার যার গন্ডির ভেতর থেকে কাজ করতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে চলমান প্রকল্পের কাজের গতি আরো বাড়ানো নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বামী হত্যার বিচার করেননি খালেদা জিয়া। মেজর জিয়াউর রহমান হত্যার পর একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলার চার্জশিটে পুলিশ আসামি খুঁজে পায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিই গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া। পক্ষান্তরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিট আমরা নারাজি দিয়েছি, বিচার করেছি।
সভায় সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। তবে আগামী বর্ষার মধ্যে যাতে নগরীতে জলাবদ্ধতা কিছুটা লাঘব হয় সে জন্য দ্রুত ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে খাল নালা থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ৫৭টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি খাল খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১১টি খালের কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সব খাল খনন করা হবে। যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম করতেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম।
সিডিএ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল হক আমিন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সিডিএ বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, মো. শাহজাহান, মোস্তফা জামাল, স্থপতি আসিক ইমরান, রুমানা নাসরিন, এম আর আজিম।
বিএম/রাজীব সেন…
