খাগড়াছড়ি মধুপুর এলাকায় পাহাড়ি নারীদের সবজি বাজার

    বিপ্লব তালুকদার, খাগড়াছড়ি ::  

    খাগড়াছড়ির মধুপুর বাজার নামেই সবাই চেনে এটি। পাহাড়ের তাজা ফলমূল আর ভেজালমুক্ত সবজির বাজার হিসেবেও ক্রেতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। এখানকার বিক্রেতাদের মধ্যে হাতেগোনা দুয়েকজন পুরুষ ছাড়া সবাই নারী।
    পাহাড়ি দরিদ্র নারীরাই এ বাজারের বিক্রেতা। শুধু শাক-সবজি বিক্রি করেন তাঁরা। মৌসুমের সময় বিক্রি হয় জুমে উৎপাদিত নানান ধরনের সবজি। এছাড়া সারা বছরই এখানে পাওয়া যায় প্রকৃতি থেকে আহরিত নানান ফল আর শাক-সবজি। মূলত হতদরিদ্র নারীরা সংসারের টানাপড়েন সামান্য কমাতে প্রকৃতি থেকে সবজি সংগ্রহ করে এ বাজারে নিয়ে আসেন বিক্রয়ের জন্য। আর এসব সবজি কীটনাশক, রাসায়নিক এবং ফরমালিনমুক্ত বলে তাজা এবং ভেজালমুক্ত সবজি ক্রেতারাই প্রতিদিন বিকেলে এ বাজারে ভিড় জামান।
    বাজারটি খাগড়াছড়ি মধুপুর বাজার নামেই পরিচিত। পাহাড়ের তাজা ফলমূল আর ভেজালমুক্ত সবজির বাজার হিসেবেই ক্রেতাদের নিকট পরিচিত এটি।
    এখানতার বিক্রেতাদের মধ্যে হাতেগোনা দুয়েকজন পুরুষ চোখে পড়লেও বাকি সবাই নারী। পাহাড়ে জুমচাষ অথবা অন্য কাজের ফাঁকে কুড়িয়ে সংগ্রহ করা অল্প অল্প করে হলেও নানান জাতের সবজি নিয়ে বিকেলে বিক্রি করতে চলে আসেন তাঁরা। থানকুনি পাতা থেকে শুরু করে কলার মোচা, বাঁশকড়ুল, তারাগাছ, কচুশাক, কচুলতি, কাঁচা-পাকা পেপে, কলাসহ অনেক কিছুই পাওয়া যায় এখানে। যেগুলোর অধিকাংশই প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত।
    খাগড়াছড়ি এধুপুর বাজারে সবজি কিনছিলেন জগৎময় চাকমা (৬০)। তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কীটনাশক আর সার ব্যবহার করা ফরমালিনযুক্ত শাক-সবজি খেতেও স্বাদ নেই এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন এ মধুপুর বাজার থেকে পছন্দমতো সবজি অল্প অল্প করে নিয়ে যাই।’ শুধু পাহাড়ি সম্প্রদায় নয় বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকের অনেকে এ বাজারের ক্রেতা।
    সবজি বিক্রেতা কাকলী মারমা (৫০) জানান, পাহাড়ের ঝাড়-জঙ্গল এবং ছড়ার পাড় থেকে সারাদিন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি কুড়িয়ে এনে বিকেলে এ বাজারে বিক্রি করেন তিনি। ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মতো বিক্রি হয় প্রতিদিন। এ দিয়ে তাঁর দরিদ্র পরিবারের সংসারের খরচের অনেকটা জোগান হয়।