উৎসবমূখর পরিবেশে হাটহাজারীতে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন

    বাংলাদেশ মেইলঃঃ

     

    হাটহাজারী (চট্রগ্রাম)

    হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টিকাদান উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাসেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তার বেগম মুক্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু সৈয়দ মোঃ ইমতিয়াজ হোসাইন, ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, সাংসদের একান্ত সহকারী সৈয়দ মঞ্জুরুল আলম,
    গড়দুয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ তালুকদার, গুমানমর্দন ইউনিয়নের মোঃ মুজিবুর রহমান, ধলই ইউনিয়নের আলমগীর জামান সি আই পি, মেখলের সালাউদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সোহানা বিল্লা, ডাঃ মাহতাব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক বাবু গোবিন্দ প্রসাদ মহাজন সহ অনেকে টিকা গ্রহন করেন। তবে ব্যারিস্টার আনিস উদ্বোধন করলেও টিকা নেন নি।
    স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু সৈয়দ মোঃ ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, শনিবার মধ্যে রাত পর্যন্ত নিবন্ধিত ২৬০জনকে ম্যাসেজ দেয়া হয়। এ পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ৫০০ জন নিবন্ধিত হোন টিকা গ্রহনে। আশা করছি আগামিকাল থেকে বাড়তে পারে টিকাগ্রহনকারীর সংখ্যা।
    উল্লেখ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ হাজার ৫শত ৮৮ টি ভায়াল আসে। একটি ভায়ালে ১০টি ডোজসহ মোট ২৫হাজার ৮শত ৮০টি ডোজ। টিকার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত সম্মুখ যোদ্ধা( চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ) এবং ৫৫ বছরের উর্ধ্বে যারা তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। টিকার নিবন্ধনের জন্য ২টি বুথে সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষিত টিম নিয়োজিত রয়েছে। অনিবন্ধিত কেউ টিকা নিতে আসলে তাকে ফেরৎ না দিয়ে উৎসাহিত করার লক্ষে একটি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি নিয়ে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
    টিকাদান ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে। প্রতিমাসে ১০দিন করে এ কর্মসূচি চলবে তবে এ টিকার মেয়াদ ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তাই যত দ্রুত দেয়া যায় ততই মঙ্গল। যেহেতু প্রতিজনকে দুটি করে টিকা নিতে হবে। ১ম ডোজ নেয়ার ৪ সপ্তাহ(২৮ দিন) পর ২য় ডোজ নিতে হবে। করোনা ভাইরাসের চরিত্র বদল হয় তাই চরিত্র বদল হওয়ার আগেই যদি দ্রুত টিকা গ্রহন করা হয় তাহলে করোনা মহামারি থেকে বাঁচা অনেকখানি সম্ভব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা সেম্পল নেয়ার স্থানেই টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন হয়েছে। কমপ্লেক্সের ভেতরে সেম্পল নেয়ার কার্যক্রমও চলমান আছে।