করোনা মহামারীর মধ্যেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, ভীড়ে হারিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই মেডিকেল কলেজের বিলম্বিত ভর্তি পরীক্ষা হল, যাতে অংশ নিলেন চিকিৎসক হতে আগ্রহী প্রায় সোয়া এক লাখ শিক্ষার্থী।

    শুক্রবার বেলা ১০টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৫টি কেন্দ্রে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়, যা বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে।

    সারা দেশে ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ঢাকা মহানগরের ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থ ছিলেন ৪৭ হাজার।

    দেশের ৪৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। আর ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আরও ৬ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (ভেন্যু-১), চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ (ভেন্যু-২), কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম (ভেন্যু-৩), প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, দামপাড়া, ওয়াসা ক্যাম্পাস (ভেন্যু-৪), প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, জিইসি ক্যাম্পাস (ভেন্যু ৫), বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজ (ভেন্যু-৬), ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম, (ভেন্যু-৭) কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত ভীড়ের কারনে করোনাভীতি অনেকটাই উপেক্ষিত ছিল।

    মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র

    করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গত বছর নেওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সংক্রমণ কিছুটা কমলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রমের সময়সূচি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

    মহামারীর মধ্যে এ পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়িও ছিল। পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কেন্দ্রে ঢোকার সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অথবা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে প্রচণ্ড ভিড়ে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না।

    বরাবরের মত এবারও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশের আগে তল্লাশির ব্যবস্থা ছাড়াও অনিয়ম ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাখা হয়েছিল।