আবারো লন্ডন মেয়র নির্বাচিত হলেন সাদিক খান

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ২য় বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। সাদিক খানের বিরুদ্ধে প্রচারে যতটা আক্রমণাত্মক ছিলেন, ভোটের বাক্সে ততটাই যেন অসহায় হয়ে ধরা দিলেন শোন বেইলি । সাদিক খান পেয়েছেন বারো লক্ষ পাঁচ হাজার ৩৪ ভোট। কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী শোন বেইলি পেয়েছেন ৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬০১ ভোট।

    ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী শোন বেইলিকে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৩৩   ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম মুসলিম হিসেবে (২য় বার) লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হলেন বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান।

    গত বৃহস্পতিবার লন্ডন অ্যাসেম্বলি ও লন্ডনের মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, লন্ডন অ্যাসেম্বলির ১৪টি আসনের আটটিতে বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে প্রথম পছন্দের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক।

    ৫৫.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন লেবার প্রার্থী সাদিক খান, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী শ্যোন বেইলী পেয়েছন ৪৪.৮ শতাংশ ভোট। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারনে এবারের ভোট টার্নওভার ছিল তুলনামূলক  কম।

    সাদিকের বিজয়কে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসের নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, সাদিক প্রথম মুসলিম এবং প্রথম কোনো অশ্বেতাঙ্গ, যিনি বহুসংস্কৃতির তীর্থখ্যাত এই মহানগরের মেয়র নির্বাচিত হলেন। একজন অভিবাসী বাসচালকের সন্তান হওয়ার কারণেও  সাদিকের ২ য় বার মেয়র পদে বিজয়ের এমন অর্জন অন্য রকম তাৎপর্য বহন করছে।গতবারের নির্বাচনে  কনজারভেটিভ দলীয় মেয়র বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন সাদিক।

    যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এবং মুসলিম। তাঁর এই পরিচয়কে হাতিয়ার করে প্রচারণায় নেমেছিলেন শোন বেইলি।

    একই দিন ইংল্যান্ডের ১২৪টি কাউন্সিলের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হয় প্রাদেশিক সরকার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

    দলের প্রভাবশালীদের মতের বিরুদ্ধে লেবার পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়া বামপন্থী কেইর স্টারমার  জন্য এটা ছিল প্রথম কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা। ধারণা ছিল, স্থানীয় নির্বাচনে লেবার ধরাশায়ী হবে এবং সে অজুহাতে নেতৃত্ব থেকে উৎখাতের শিকার হবেন তিনি। আগের নির্বাচনের চেয়ে ভালো করতে না পারলেও স্থানীয় নির্বাচনে শীর্ষস্থান ধরে রাখায় এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন কেইর স্টারমার।