ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড পাস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করে

    বিএম ডেস্ক : হটাৎ এক রাতের সম্পর্ক। পর দিন থেকে গতানুগতিক জীবনযুদ্ধের চাপে সেই পুরুষ বা মেয়েটি পরস্পরের কাছে হয়ে যায় অচেনা। কিন্তু কখনও কি অবসরকালে, একা থাকার মুহূর্তে হঠাৎ করে ভেসে ওঠে না এক রাতের সেই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মুখচ্ছবি?‌ সাবধানী সংসারী মানুষরা হয়ত বলবেন ‘‌না, ওসব এক রাতের ভুল’‌।

    কিন্তু ‘‌সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপস্‌’‌ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টে একদম বিপরীত তথ্য উঠে এসেছে যৌনতা, সমাজ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কে। সমীক্ষাদলে ছিলেন মনস্তাত্বিক, চিকিৎসক, দার্শনিক এবং সাহিত্যিকরাও। রিপোর্ট বলছে, যৌনমিলনের আকাঙ্খা শুধু দুটি নরনারীকে পরস্পরের প্রতি শারীরিকভাবে আকৃষ্টই করে না। দুজনের মধ্যে একটা দৃঢ় মানসিক বন্ধনও তৈরি করে দেয়। সমীক্ষার প্রধান, গবেষক গুরিট বার্নবাম বলছেন, ‘‌যৌনমিলন দুজন অপরিচিত নরনারীকে গভীর মানসিক বন্ধনে বেঁধে ফেলে। এটা যেমন পুরুষদের ক্ষেত্রে ঠিক, তেমনই মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।’‌ বার্নবামের মতে, প্রচলিত ধারণা, পুরুষরাই যৌনতায় বেশি আগ্রহী। কিন্তু যখন যৌন আকাঙ্খা তীব্র হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে দুতরফেই সমান অনুভূতি প্রকট হয়।

    সমীক্ষকরা জানালেন, এই সমীক্ষার জন্য তাঁরা চারজন সম্পূর্ণ অপরিচিত যুবক, যুবতীর এক রাতের সহবাস এবং তার পরের অনুভূতি পরীক্ষা করেছিলেন। সমীক্ষা দলের আরেক গবেষক হ্যারিস রেইস বললেন, ‘‌আমরা সাধারণত জানি, মানসিক টান এবং যৌনতার আকাঙ্খা সম্পূর্ণ বিপরীত দুটি অনুভূতি। কিন্তু এধরনের একরাতের মিলনেও দুজনের মধ্যে তীব্র মানসিক আকর্ষণ তৈরি হয়ে যায়।’‌ গবেষকদের মতে, আগে থেকে অচেনা দুই যুবক–যুবতীর মধ্যে যৌনমিলনেনের আকাঙ্খা নতুন সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করে।

    বিএম/রনী/রাজীব