বিশ্বব্যাপী করোনায় মারা গেছে সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ

    ভারতে করোনার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত  ও মৃত্যুর সংখ্যা  বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ লাখ। আক্রান্তের সংখ্যাও সাড়ে সতের কোটি ছাড়িয়েছে । গেল  ২৪ ঘণ্টায়  করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৯০৩ জন। আর নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৬ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪৯ জন।

    মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৩ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার ২৯২ জন।

    করোনায় বিশ্বে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ৭০১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৯ জন।

    তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৯ জন।

    তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮১২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮ হাজার ৪০১ জন। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম জার্মানি।

    সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় সম্প্রতি এক ধাপ ওপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩২তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৬৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা