বাংলাদেশ মেইল ::
কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অদৃশ্য এই ভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং মারা গেছেন ১৯৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪০৫ জন।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৮০ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে ৬৬ জন, দৌলতপুরে ৩৮ জন, কুমারখালীতে ২৭ জন, ভেড়ামারায় ১৭ জন, মিরপুরে ২০ জন এবং খোকসার ১২ জন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত জেলায় ৬১ হাজার ২৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৫৯ হাজার ৩০৩ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৪ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৭৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৭৫৯ জন।
এদিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. আকুল উদ্দিন বলেন, বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা জাতীয় ওষুধ ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বারবার উপদেশ দেওয়ার পরও জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত লোকজন করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা পরীক্ষা না করে বিভিন্ন ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে করোনার সংক্রমণ বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে কুষ্টিয়া জেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হয়েছে রোববার রাত ১২টায়। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলায় লকডাউন আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
