বারিয়ারহাটের মেয়র খোকনের অপকর্ম
    মিরসরাইয়ে হাসপাতালের জন্য ক্রয়কৃত জমির উপর মেয়রের অপরিকল্পিত ড্রেন

    সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধি ::

    মিরসরাইয়ে হাসপাতালের জন্য ক্রয়কৃত জমির উপর অপরিকল্পিত ড্রেন দেয়ার প্রতিবাদে আবুধাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী ফকরুল ইসলাম খান সিআইপি।

    আরব আমিরাতের আবুধাবিতে গত ৩ জুলাই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট (বারিয়ারহাট) পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনের ব্যক্তিগত আক্রোশে এফ আই কে কোম্পানির প্রস্তাবিত বিশ্ব মানের হাসপাতালের জন্য ক্রয়কৃত জমির উপর অপরিকল্পিত ড্রেইনের নামে মাটি খনন, খান মার্কেট ভাংচুর ও হাইওয়ের পাশ্ববর্তী বাউন্ডারি ভেঙে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়র রেজাউল করিম খোকন জোরপূর্বক ফায়দা লুটে তার সম্পত্তির উপর জোর জুলুম করছে এবং কৌশলে চাঁদা আদায়ের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

    তিনি বলেন, আমি একজন প্রবাসী। বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত এবং বহুবার বাংলাদেশ ব্যাংক হতে সেরা রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হয়েছি। আমার প্রতি এমন ন্যাক্কার জনক আচরণ হলে সাধারণ প্রবাসীদের উপর কি রকম জুলুম চলছে তা সহজেই অনুমেয়। প্রবাসীরা এখন দেশে বিনিয়োগ করার সাহস পায় না, অথচ আমরা প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ আমন্ত্রণে দেশে বিনিয়োগসহ জনহিতকর কার্যে নানান ভাবে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখে চলেছি৷  এবং আমার জমির উপর একটি বিশ্ব মানের হাসপাতাল নির্মাণ করার অঙ্গীকার করেছি।  অথচ পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন এমন আচরণের মাধ্যমে  প্রধানমন্ত্রীর দেশকে এগিয়ে নেওয়ার রোড ম্যাপের পরিপন্থী কাজ করছে। আমার হাসপাতাল পরিকল্পনা নির্মাণকে বাধাগ্রস্ত করতে প্রস্তাবিত জমির উপর ড্রেইন করার নামে মাটি খনন করে আমার মার্কেট ভেঙে লুুটপাট শুরু করেছে। ‘

    তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, আমার এলাকার মাননীয় এমপি,  ডিসি, স্থানীয় ইউএনওসহ থানার ওসির নিকট আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সুষ্ট বিচার চাই। আমি বাংলাদেশ সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব কর দিয়ে আসতেছি। আমি রেজাউল করিম খোকনের এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি পূরণ দাবি করছি। ‘

    এই ঘটনার সুরাহা না হলে এই মেয়রের আমলে সমস্ত বিনিয়োগ বন্ধসহ দেশের প্রচলিত আইনে এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষনা দেন তিনি৷

    তিনি আরো বলেন, সরকার যদি আমার থেকে এই জমি নিতে চায়, আমি জনগণের স্বার্থে তা দিয়ে দিবো৷  তবে তা বেআইনি ভাবে নয়, আইনগত ভাবে। আর এই জমি হিন্দুদের শ্মশানের জমি বলে যে অপপ্রচার করছে, যদি তাও কাগজ কলমে প্রমান করতে পারে, তাহলে আমি হিন্দুদের শ্মশানের জন্য দান করে দিবো। ‘

    প্রেস কনফারেন্সে আরো বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত আরব আমিরাত চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যান ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক কাজী সৈয়দ তারেক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি সমগ্র প্রবাসীসহ মিরসরাইয়ের সাধারন মানুষের  জন্য এক দানশীল ব্যক্তি।  কোভিট-১৯ ট্রাজেডিতে যার ত্রাণসামগ্রী মিরসরাইয়ে নিজস্ব পরিবহনে করে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল এবং এই সুদূর প্রবাসেও প্রবাসীদের দুয়ারে দুয়ারে তার দেওয়া ত্রাণ অনস্বীকার্য। এমন জনপ্রিয় রেমিট্যান্স বীর ও সিআইপি ব্যক্তির জায়গা জমির উপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই এবং অনতিবিলম্বে স্থানীয় মাননীয় এমপি সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন জানাই যেন তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হয়। আর যদি তা না হয় আমরা প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অন্যায়ের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব। ‘

    বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সরওয়ার আজম বলেন, আমরা প্রবাসীরা নিরাপদ পরিবেশ চাই এবং  ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি’র উপর জোর জুলুমের অবসান চাই এবং মেয়রের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।