বাংলাদেশ মেইল ::
করোনাকালে অমানবিকতার অনেক দৃশ্যের মুখোমুখি হয়েছেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা। এমনই অমানবিক ঘটনার জম্ম দিয়ে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী মোজাম্মেল ৷ এ ঘটনা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের। হাসপাতালে ভর্তির পর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত শুনেই পালিয়ে যান স্বামী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী আসমা আক্তার। তার লাশ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পড়ে ছিল চমেক হাসপাতালের মর্গে।
বুধবার (৬ জুলাই) চমেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে স্ত্রী আসমা আক্তারকে (৩৮) নিয়ে আসেন স্বামী মোজাম্মেল। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসা আসমার তাৎক্ষণিক র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। টেস্টে করোনায় আক্রান্ত আসমা । আর এই খবর শুনেই পালিয়ে যান স্বামী মোজাম্মেল।
করোনা ইউনিটে ভর্তি হওয়া আসমা বুধবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে মারা যান।মৃত্যুর পর তাকে বিষয়টি জানানো হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানাতে হাসপাতাল থেকে স্বামী মোজাম্মেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার কোন হদিস মেলেনি । এরপর থেকে তার নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়। স্বামী কিংবা কোন স্বজনের খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আসমা আক্তারের মরদেহ দাফনের জন্য বেসরকারি সংস্থা কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
হাসপাতালে দেয়া তথ্যানুযায়ী আসমার বাসা চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের মৌলবী পাড়া এলাকায় বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া।
জহিরুল জানান, আছমা আক্তারকে ভর্তির পর থেকে তার কোন অভিভাবক যোগাযোগ করেননি। গতকাল রাতে আছমা আক্তার মারা যায়৷ রোগীর স্বামীর ০১৭১৮৬৩৩২৯৮ নম্বরে ফোন করে জানানো হয় । এরপর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। মৃত আসমার লাশ দাফনের জন্য কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের শরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে পেয়ে নিয়মানুযায়ী জানাযা দিয়ে মৃতের লাশ দাফন করা হয়েছে নগরীর আরেফিন নগর গোরস্থানে।