বাংলাদেশ মেইল::
রাজধানীর দক্ষিণকুড়িল এলাকায় জোয়ারসাহারা বাজারে বিসমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পর বাজারে প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে। সব কম্পানি এক সঙ্গে কেজিতে ৩ টাকা বাড়িয়ে প্যাকেটের গায়ে মূল্য ৩৮ টাকা করেছে। ’ তিনি বলেন, ‘২৫ কেজি লবণের একটি বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে। ৭৫০ টাকার বস্তা এখন ৮০০ টাকায় কিনে আনতে হচ্ছে। ’ এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, মিল পর্যায়ে লবণের দাম বাড়েনি। এখনও ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি আবু হানিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘মিল পর্যায়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই লবণের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ানো হয়নি। তবে যেসব কম্পানি প্যাকেটজাত করে লবণ বাজারজাত করছে, তারা হয়তো বর্তমান অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করছে। ’ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে প্যাকেটজাত লবণ প্রস্তুতকারী কম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘পণ্য পরিবহণ খরচসহ বিভিন্ন কারণে তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই প্যাকেটজাত লবণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) তথ্য মতে, দেশে গত মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ টনের বেশি। যা লবণ উৎপাদনে রেকর্ড। এবার লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টন। দেশে লবণের রেকর্ড উৎপাদন পরও দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাইলে বিসিক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কি কারণে লবণের দাম বাড়িয়েছে এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। ’