বাতকর্মে কমে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

    যখন তখন বাতকর্মের ফলে অনেককেই বিড়ম্বনায় পরে। ঘর-ভর্তি লোকের সামনে বা অফিসে মিটিং চলাকালীন বা বাসে-ট্রামে যাতায়াতের সময় নিয়ন্ত্রণ ‘ফসকে’ অনেক সময়ই বাতকর্ম হয়ে যায়। অন্যমনষ্ক হওয়ার ভান করা বা মুখ নিচু করে নেওয়া ছাড়া তখন আর কিছুই করার থাকে না।

    যারা এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে এক বা একাধিকবার পড়েছেন তারা এটাও জানেন যে, এই বাতকর্মের ফলেই শরীরের মারাত্মক অস্বস্তি এর মুহূর্তে কেটে যায়। কিন্তু এমন অপ্রস্তুত আর লজ্জাজনক পরিস্থিতি আর হয় না! কিন্তু বাতকর্ম নিয়ে লজ্জা পাওয়ার দিন এ বার ফুরলো।

    কারণ, বিজ্ঞানীদের মতে, বাতকর্ম আমাদের সুস্থ শরীরেরই লক্ষণ। সোজা কথায় বাতকর্ম হওয়া মানে, শরীর সুস্থ আছে… চিন্তার কিছু নেই!

    ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির গবেষক স্টাইন ভাহোম জানান, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার খান, তাঁরা প্রায়ই বাতকর্ম করে থাকেন। আর যারা অস্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার খান (যে কোনও কারণেই হোক), তাঁদের মধ্যে বাতকর্মের প্রবণতা অনেকটাই কম।

    অধ্যাপক ভাহোমের মতে, ঘন ঘন বাতকর্মের ফলে ওজন স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, ঘন ঘন বাতকর্মের ফলে ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, এমনকি ক্যান্সারও দূরে থাকে। তাঁর মতে, জোর করে বাতকর্ম চেপে রাখলে তা শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। বাতকর্ম চাপার ফলে এর হাইড্রোজেন সালফাইড আমাদের রক্ত সংবহনতন্ত্রে মিশে ফুসফুসে বা হৃদপিণ্ড পৌঁছে বড়সড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    আসুন জেনে নিই বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ তথ্য…..

    ১) বাতকর্মের গতি ঘণ্টায় প্রায় ১১ কিলোমিটার।

    ২) একজন সুস্থ মানুষ দিনে সর্বাধিক ১২ বার বাতকর্ম করেন।

    ৩) পুরুষদের তুলনায় মহিলারা কম বাতকর্ম করেন।

    ৪) বেশির ভাগ সময়ই আমাদের বাতকর্ম হয় ঘুমের মধ্যে।

    ইংল্যান্ডের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, বাতকর্মের সঙ্গে নির্গত হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটক, ডিমেনশিয়া, ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।