মির্জা ফখরুল সুন্দর মিথ্যা বলতে পারেন-তথ্যমন্ত্রী

    রাজনীতি মেইল : তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারেন। তিনি একজন সজ্জন মানুষ। কিন্তু তিনি একটি বৃহত্তর দলের মহাসচিব হিসেবে সম্পূর্ণই ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

    আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান প্রয়োজন। বিএনপি নেতিবাচক ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি করছে। দেশের মানুষ তদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পছন্দ করেনি।

    বিএনপি নেতারা ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বিপর্যয় দিবস’ পালনের কথা বলেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছে জাতীয় বিপর্যয়- এটি আসলে বিএনপির মহাবিপর্যয়, সেটা তারা পালন করতে পারে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি নির্বাচন করার আগে যে প্রস্তুতি দরকার, যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা দরকার। বিএনপির সবকিছু ছিল ত্রুটিযুক্ত, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৮০০ ক্যান্ডিডেটকে নমিনেশন দেওয়া আমাদের দেশে কখনো ঘটেনি।’

    বিএনপি বলেছেন, আগামী উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল তাদের। আগামী উপজেলা নির্বাচনেও যদি তারা অংশগ্রহণ না করে সেটিও হবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মহাভুলের মত, আত্মহননের মতো আরেকটি সিদ্ধান্ত। সেটি তাদের দলকে জনগণের কাছ থেকে আরো বেশি বিচ্ছিন্ন করবে।

    হাছান মাহমুদ মনে করেন, বিএনপি দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা ভোট করবেন।

    এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের জন্য বেতন কাঠামো দরকার। সাংবাদিকদের জন্য ৯ম ওয়েজবোর্ডের কাজ চলছে। এরপাশাপাশি রেডিও টেলিভিশনে কর্মরত সংবাদকর্মীদের একটি বেতন বোর্ডের বিষয়েও আলোচনা চলছে। সময়মতোই তা প্রকাশ করা হবে।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সাংবাদিকদের আবাসন সুবিধার কথা বলা হয়েছে। আমরা এ অঙ্গীকার পূরণ করব। আমরা চিন্তা করছি সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট করে দিলে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। তবে কারা ফ্ল্যাট পাবেন তা নির্ধারণ করবে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোই। তারাই যাচাই করে তালিকা প্রদান করবে।

    বিএসআরএফ সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

    ডিএফপির মিডিয়া তালিকায় শীর্ষে অনেক অখ্যাত পত্রিকা দেখা যায়, এ বিষয়ে আপনি কোন পদক্ষেপ নেবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি ইতিমধ্যে দেখেছি। এ বিষয়গুলো দেখছি। আমি দায়িত্ব নিয়েছি দুই সপ্তাহ হলো। এটা আসলে বাস্তবসম্মত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

    ওয়েজবোর্ড ঘোষণার পর মুষ্টিমেয় কয়েকটি পত্রিকা তা বাস্তবায়ন করে বাকিরা করে না। এ ক্ষেত্রে আপনি কী ভূমিকা রাখবেন- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজবোর্ড যাতে বাস্তবায়ন হয় সেজন্য আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গেও আলোচনায় বসব।

    বিএম/রাজীব