রাউজানে অতিথি পাখির কলতানে মুখর লস্কর উজির দিঘী

    আমির হামজা রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের অতিথি পাখিদের মিলন মেলা শুরু হয়েছে। শীতের আমেজ যতই বাড়ছে, সাথে সাথে বেড়ে চলছে অতিথি পাখির আগমন। সারাদিনই দিঘীর আশপাশ এলাকা জুড়ে কিচির মিচির ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠেছে চারিদিক।

    এই দিঘীতে বছরে বেশ-কিছু সময় অতিথি পাখি অবস্থান করে এবং সারা বছরই দিঘীতে দেশি পাখি দেখা যায়। এই দিঘী গিরে যেন পরিণত হয়েছে পাখিদের এক মিলন মেলা।

    সরেজমিনে দেখা যায়, অপরূপ সৌর্ন্দযের লীলাভূমি কদলপুর গ্রামের ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘী, আশরাফ খানের স্মৃতি বিজরিত কদলপুর লস্কর উজির দিঘির নিয়ে রয়েছে এক বাদশাহের ইতিহাস।

    কাপ্তাই সড়ক পথের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে উত্তর মূখি হয়ে হাফেজ বজলুর রহমান সড়ক পথে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরুত্বে এই দিঘির অবস্থান। ৬০ একর আয়তনের বিশাল এই দীঘির পশ্চিম পাড়েই রয়েছে এক অলির মাজার শরিফ। দিঘীর পুর্ব পাড়ে হয়েছে সুন্দর একটি মসজিদ।

    দিঘীর পাড়ের রয়েছে দেখারমত অসংখ্য সবুজ গাছের বাগান। শীতের মৌসুম আসার পর থেকেই প্রতিদিন হাজারো অতিথি পাখি দল বেঁধে আসতে শুরু করে এখানে। সূর্যদয়ের সাথে সাথে শুরু হয় নাম জানা অজানা পাখির কিচির-মিচির শব্দে ছুটে চলা। চলতে থাকে সারাদিন ও রাতেও দল বেঁধে ছুটে বেড়ান স্থানীয় এলাকা জুড়ে।

    মাঝে মধ্যে আকাশের বুকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে থাকে অতিথি পাখির দল। পাখির কিচির মিচির ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে স্থানীয় এলাকার চারিদিক। আবার কখনো দল বেঁধে উড়ে বেড়ায় দীঘির পানির ওপর দিয়ে। হাজার হাজার অতিথি পাখির কোলাহলে পুরো এলাকা এখন মুখরিত।

    কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তছলিম উদ্দিন বলেন, শীতের শুরু থেকে সবুজ ও গোলাপি রাউজান হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের রাউজানের প্রতি বছরের মত এবারও আসছে অতিথি পাখিরা। ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দেখা আমাদেন মুগ্ধ করছেন, এসব ভিনদেশি অতিথি পাখিরা হয়ে উঠেছে রাউজানসহ স্থানীয় এলাকার মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।

    রাউজান মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, শীতের শুরুতেই সবুজ ও গোলাপি রাউজান হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতি বছরের মত এবারও আসতে শুরু করেছে শীতের অতিথি পাখিরা। ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি অাসতে শুরু করেছে। এসব ভিনদেশী অতিথি পাখিরা হয়ে উঠেছে রাউজান সহ স্থানীয় এলাকার মানুষের কাছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।

    স্থানীয় লোকজন জানান, এখানে যখন আমরা নামাজ পড়তে আসি তখনি এসব পাখির দৃশ্য আমাদের মনে আনন্দ লাগান। আমরা আনন্দ পাই কারণ এরকম দেশি-বিদেশি পাখির দৃশ্য কোথাও দেখা যায় না যা এখানে আমরা দেখতে পারছি।

    এরকম একটি মনোরম দৃশ্য দেখতে অনেক সুন্দর আর ভালো লাগে। বিশেষ করে এই দিঘীটি পাখির একটি নিরাপদ আবাসস্থল তা না দেখলে বিশ্বাসই করা যায়না। বিগত বেশ-কিছু বছর ধরে এই দিঘীতে অতিথি পাখি ছুটে চলে আসেন।

    এ দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে লস্কর উজির দীঘির পাড়ে ছুটে আসেন শত শত মানুষ।

    বিএম/হামজা/রাজীব