আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য : আশ্রমের জায়গায় দোকান নির্মানের অভিযোগ

    ????????????????????????????????????

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকায় অবস্থিত সনাতন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহি শতবর্ষী পুরানো মন্দির কৈবাল্য ধাম। শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই আশ্রমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের হাজার হাজার ভক্তরা আসেন তীর্থ দর্শনের জন্য।

    সম্প্রতি একটি কুচক্রি মহল ঐতিহ্যবাহি এ মন্দিরের সিমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে বাণিজ্য করার অভিযোগ করেছে মন্দিরের একাধিক ভক্ত। তাদের দাবী হাইকোট থেকে মন্দিরের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও একটি ভূমি দস্যু চক্র আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখে তা ভাড়ায় লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    একাধিক ভক্ত জানিয়েছে, মন্দিরের জায়গায় দোকানঘরসহ কোন ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ না করতে এর আগেও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছিলো। তখন সে নির্দেশনা অমান্য করে ভুমিদস্যু চক্রটি অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে তা ভাড়ায় লাগানোর চেষ্টা করে। এতে শতবর্ষী মন্দির কর্তৃপক্ষের মধ্যে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে মন্দিরের জায়গা নিয়ে সৃষ্ট দুই গ্রুপের সদস্যরা বিবাধে জড়িয়ে পরে। একপর্যায়ে এ সংঘাত ভয়াবহ আকারে রুপ নিলে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে মন্দিরের ভক্তদের একাংশ আদালতের শরণাপন্ন হয়।

    ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মন্দিরের জায়গায় দোকান ঘর নির্মানে হাই কোর্ট ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরবর্তীতে গত ৩ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আরো ৬ মাস বর্ধিত করা হয়।

    নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও আদেশ অমান্য করে আশ্রম কমিটির একটি গ্রুপ অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া বাণিজ্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হাই কোর্টের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে দোকান ঘর নির্মানের ঘটনায় কৈবাল্য ধাম আশ্রমের মোহন্ত অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়কে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আইনী নোটিশও প্রদান করার কথাও জানিয়েছে ভক্তরা।

    অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এবং প্রকৃত ঘটনা জানতে মন্দিরের মোহন্ত চট্টোপাধ্যায়ের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যাইনি।

    এ প্রসঙ্গে কৈবাল্য ধাম আশ্রমের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নীপেশ রঞ্জন হোড় জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কতিপয় ধান্ধাবাজ চক্র মন্দিরের রক্ষক সেজে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়ায় লাগিয়ত করছে, শুধু মাত্র তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য।

    বাংলাদেশ মঠ মন্দির রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহুরলাল চক্রবর্ত্তী জানান, এই মন্দিরের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে, এই মন্দিরের সোন্দর্য্য ও পবিত্রতা নষ্ঠ করে হাজার হাজার ভক্তদের অনুভুতিতে আঘাত দিবে এটা ধর্মপ্রান ভক্তরা কখনো মেনে নেবেনা।

    চট্টেস্বরী কালি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ও সেবায়িত বিজয় কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, কৈবাল্যধাম আশ্রমের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে যারা ব্যক্তিগত ধান্ধাবাজিতে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্ঠান্তমুলক শান্তির দাবি জানান।

    বিএম/রাজীব…