খালেদা জিয়াকে কারাগারে হত্যা করার পায়তারা করছে সরকার-ডাঃ শাহাদাত

    ????????????????????????????????????

    চট্টগ্রাম মেইল : আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনে যাতে কোন বাধা না থাকে সেজন্য গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। সরকার অশুভ উদ্দেশ্যে ও প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়েই তার চিকিৎসা ও মুক্তিতে বাধা দিচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার দাবি করার পরও সরকার বেগম জিয়ার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে হত্যা করার পায়তারা করছে।

    আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন কালে এসব কথা বলেন শাহাদাত।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে ভোটে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে পূনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এতে তিনি আরো বলেন, একই মামলায় অন্য আসামীরা জামিনে থাকলেও খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগে স্থগিত হওয়া নজির বিহীন ঘটনা। জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার। অথচ সরকার বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্থ করে খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিলম্ব করছে। তিনি অনশন কর্মসূচি থেকে বেগম জিয়াসহ সারাদেশে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

    অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মহিয়সী নারীকে অমানবিক ভাবে জেলখানায় বন্দি করে বর্বর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তার উপর চালানো হচ্ছে পরিকল্পিত নিষ্ঠুর নির্যাতন-যাতে তিনি বিনা চিকিৎসায় কারাগারেই মারা যান। বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ এবং খুবই উদ্ধেগজনক।

    তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে হত্যা চেষ্ঠা বন্ধ করে আজই তার পছন্দমত বিশেষায়িত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করুণ। তাকে মুক্তি দিন। তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সংগ্রামী জনতাকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।

    অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার মহা জালিয়তির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব ভুঁয়া মামলায় নেতা কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দিয়ে ফাইনাল রির্পোট দিতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩ ঘন্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চলাকালে দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করেন। দুপুর ১টায় অনশনরত দলীয় নেতাকর্মীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দিন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিকী অনশন

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ আজিজ, মুহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সাত্তার সরোয়ার, এস.এম আবুল ফয়েজ, জাহেদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, শামসুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক জি.এম আইয়ুব খান, ইসহাক চৌধুরী আলিম, মোঃ শাহ আলম, সম্পাদকবৃন্দ এড. সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদ আলম পান্না, এম.আই চৌধুরী মামুন, হাজী নুরুল আক্তার, ডাঃ এস এম সরোয়ার আলম, আব্দুল নবী প্রিন্স, মোঃ আলী, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোঃ সেকান্দার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহ-সম্পাদকবৃন্দ আব্দুল হালিম স্বপন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, আবু মুছা, আব্দুল হাই, আবুল খায়ের মেম্বার, বেলায়েত হোসেন বুলু, জেলি চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, সালাউদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, নূর হোসেন, শরিফ উদ্দিন খান, আব্দুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সদস্য রেজিয়া বেগম মুন্নি, আখি সুলতানা, ইউসুফ সিকদার, আতিকুর রহমান, মোঃ তসলিম হোসেন, নাছির মোহাম্মদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস.এম মফিজুল্লাহ, হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুল্লাহ আল ছগির, মোঃ বেলাল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, মোঃ আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, আবুল কালাম আবু, জসিম মিয়া, জাহেদুল্লাহ রাশেদ, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ, হাজী মোঃ এমরান উদ্দিন, মনজুুুরুল কাদের, এস.এম আজাদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেখ রাসেল, নাসিম চৌধুরী, ম হামিদ, মোঃ মুছা, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, হাজী নুরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মনোয়ার হোসেন মানিক, আসাদুর রহমান টিপু, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, মোঃ নওশাদ, আলাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সালাহ উদ্দিন, মোঃ ইদ্রিস প্রমুখ।

    বিএম/রাজীব…