জনগণেরই বিজয় হবে : ফখরুল

    বিএম ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের উপর চেপে বসা জগদ্দল পাথর সরাতে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করি সেখানে জনগণেরই বিজয় হবে।

    দেশ একটি কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কোনো দুঃসময় পার করছি না। আমরা যদি আল মাহমুদকে স্মরণ করে আমৃত্য লড়াই আর সংগ্রাম করতে পারি তাহলে বিজয় আমাদের নিশ্চিত।

    আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কবি আল মাহমুদ স্মরণে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

    জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস এই স্মরণসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ।

    শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট গীতিকার ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কবি আবদুল হাই শিকদার, জাসাসের নেতা হেলাল খান, রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।

    কবি আল মাহমুদ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সমাজে যুগে যুগে এমন কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ জন্মায় যারা জাতিকে পথ দেখায়, মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসে। আল মাহমুদ তেমনি একজন ক্ষণজন্মা বীরপুরুষ ছিলেন। জাতির পরিবর্তনে, যুগের পরিবর্তনে বিরাট অবদান রেখেছেন আল মাহমুদ। তিনি তার মেধা দিয়ে, লেখনির ক্ষমতা দিয়ে, কবিতার মধ্য দিয়ে জাতিকে তথা গোটা বাংলাদেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তিনি আজীবন অন্যায়, অসুন্দর, অবিচারের বিরুদ্ধে ছিলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, আল মাহমুদ গণকণ্ঠের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের ভেতরেই যখন বিদ্রোহ শুরু হলো, ছাত্রলীগ ভাগ হলো, এর একটি অংশে ছিলেন আ স ম রব, শাহজাহান সিরাজ, তাদের সেই সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন আল মাহমুদ। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের জুলুমের বিরুদ্ধে আল মাহমুদ আপসহীনভাবে লিখেছেন। অবশ্য তার মাসুল তাকে দিতে হয়েছে। তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাকে জেলেও যেতে হয়েছে। অনেক অন্যায় সহ্য করতে হয়েছে।

    মির্জা ফখরুল আরো বলেন, জাসাসের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ সৃষ্টি করা। বিদ্রোদের দ্রোহ সৃষ্টি করা। আর এই চেতনাবোধ যদি সবার মাঝে তৈরি হয় তাহলে বিজয়ী আমরা হবো। কেউ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।

    বিএম/রনী/রাজীব