ভাগ্যের নির্মমতা : ট্রাফিক সচেতনতা নিয়ে কাজ করা ছেলেটাই প্রাণ দিল সড়কে

    চট্টগ্রাম মেইল : মাত্র কিছুদিন আগেও যে ছেলেটা সড়ক ও ট্রাফিক আইন সচেতনতা নিয়ে সবসময় কাজ করে গেছেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে ছেলেটাই আজ নিজের প্রাণ সপে দিলেন সড়কে।

    শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার সাথে-মোটর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।

    নিহত সে যুবকের নাম মো. সাজ্জাদ (২৪)। চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেইট আল ফালাহ গলির বাসিন্দা ও নাছিরাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে।

    সে বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ থেকে পাশ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালতে শিক্ষানুবিষ আইনজীবি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত তরুণ আইনজীবির পারিবারিক সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার রাউজানে এক বন্ধুর বিয়ে খাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বের হয়েছিল সাজ্জাদ। রাত সাড়ে আটটার সময় মুঠোফোনে খবর আসে সাজ্জাদ এক্সিডেন্ট করেছে। জরুরিভাবে চমেক হাসপাতালে যেতে বলা হয় তাদের।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বাংলাদেশ মেইলকে বলেন, বন্ধুর বাড়িতে বিয়ে খেয়ে অন্য বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেল যোগে রাউজান থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন সাজ্জাদ। ফেরার সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে মদুনাঘাট এলাকায় তার মোটরসাইকেলটি একটি সিএনজি অটোরিক্সার সাথে-মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হয় সে। তার সাথে থাকা অন্য বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসাতালে নিয়ে আসে।

    জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তথ্য নিশ্চিত করে এসআই জহির।

    এদিকে তার কলেজের আইন বিভাগের এক সহকর্মী বলেন, মাত্র কিছুদিন আগেও বন্ধুদের সকলকে একত্রিত করে সাজ্জাদ ট্রাফিক ও সড়কের দুর্ঘটনা আইনের সচেতনতামুলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছে। আজ সে নিজেই সড়ক দুঘর্টনার বলি হলেন।

    শনিবার দুপুর ২টায় নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহত তরুণ আইনজীবির জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

    বিএম/রাজীব সেন প্রিন্স…