বিএম ডেস্ক : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (সোমবার) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জ্বল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী মিসবাহুন নাহার, আব্দুল খালেক (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মোহাম্মাদ খালেদ (মরণোত্তর), শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজ সেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন।
এছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচার (বিআইএনএ) স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি পদকে ভূষিত ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও তাদের অবদান বর্ণনা করেন। পদক প্রাপ্ত সবাইকে ১৮ কেরেটের ৫০ গ্রাম সোনার মেডেল, ৩ লাখ টাকা ও একটি সনদ প্রদান করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর (মরণোত্তর) পক্ষ থেকে তার ছেলে তানভীর শোভন হায়দার চৌধুরী, শহীদ এ টি এম জাফর আলমের (মরণোত্তর) পক্ষ থেকে তার ভাই অধ্যক্ষ মো শাহ আলম, আবদুল খালেকের (মরণোত্তর) পক্ষে তার সহধর্মিনী সাবিনা খালেক, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের পক্ষে (মরণোত্তর) তার পুত্র মোহাম্মদ জহির, শওকত আলী খানের (মরণোত্তর) পক্ষে তার দৌহিত্র রায়হান হোসেন পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা সশরীরে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক বীরেশ কুমার গোস্বামী।
বিএম/রনী/রাজীব