উড়াল দিল পৃথিবীর বড় বিমান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বছরের পর বছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের উত্তরে মরুভূমির মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়নের পর ক্যালিফোর্নিয়ার মোজাভি মরুভূমি থেকে শনিবার আকাশে উড়াল দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক বিমান। ছয় ইঞ্জিনের এই বিমানটির পাখার আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফুটবল মাঠের সমান।

    নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটোলাঞ্চ সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী জিন ফ্লয়েড সংবাদ সম্মেলনে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেছেন,‘এতো বড় একটি পাখিকে উড়তে দেখতে পারাটা একটি আবেগ মুহূর্ত।’ সাদা রঙের বিমানটিকে রক নামে ডাকা হয়।

    মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেন ২০১১ সালে স্ট্রাটোলাঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গত অক্টোবরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

    অ্যালেনকে স্মরণ করে ফ্লয়েড বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে এটি কল্পনা করে এসেছি। তবে আমার পাশে পলকে ছাড়া আমি কখনো এই মুহূর্তের কথা ভাবিনি।’

    বিমানটির পাখার প্রসারতার দৈর্ঘ্য ৩৮৫ ফুট, যা যে কোনো বিমানের চেয়ে অনেক বেশি প্রশস্ত। আর সম্মুখ থেকে লেজ পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য ২৩৮ ফুট। এর ওজনও অনেক বেশি-প্রায় পাঁচ লাখ পাউন্ড। বিমানটির দুটি ককপিট আছে। তবে উড্ডয়নের জন্য কেবল একটি ব্যবহৃত হয়।

    শনিবার বিমানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেছেন ইভান থমাস। এটি ঘন্টায় ১৭৩ মাইল গতিতে আড়াই ঘন্টা আকাশে উড়েছে। ওড়ার সময় এটি সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়েছে। বিমানটি যখন মাটিতে নামে তখন কয়েক হাজার লোক চিৎকার দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।

    ওড়ানোর পর প্রতিক্রিয়ায় থমাস বলেছেন, ‘পূর্বানুমান অনুযায়ী, বিমানের অধিকাংশ অংশই কাজ করেছে। সব দিক থেকে এটা অত্যন্ত চমৎকার। সত্যিকারার্থে প্রথম ফ্লাইটে আমি এতোটা আশা করিনি, এ ধরণের জটিল ও ব্যতিক্রম বিমানের বেলায়।’

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটিতে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণসহ সামগ্রিক মহাকাশ অভিযান আরও সাশ্রয়ী করে দেবে। বিশেষ করে ছোট আকারের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে স্থাপনের খরচ কমে আসবে।ফ্লয়েড বলেন, তার কোম্পানি মহাকাশ অভিযানে গ্রাহকদের কম দামে বেশি সুযোগ দিতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

    বিএম/রনী/রাজীব