কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, লাশ উদ্ধার ১

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে এক জন নিহত ও কক্সবাজার শহরে ১১ মামলার পলাতক আসামীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার আনু মিয়ার পুত্র আবুল কাশেমকে (৩২) নিয়ে পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়।

    এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাশেমের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে এএসআই অহিদ উল্লাহ (৩৯), কনস্টেবল হাবিব হোসাইন (২৩) ও তুহিন আহমেদ (২২) আহত হন।

    আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থামলে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে গুলিবিদ্ধ কাশেমকে উদ্ধার টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেওয়ার পথে কাশেম মারা যায়।

    টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক মাদক কারবারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী কাশেমের স্বীকারোক্তি মতে তাদের আস্তানায় অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার অভিযানে গেলে তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩ জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল হতে এলজি, তাজা কার্তুজ, ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ কাশেমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    অপরদিকে কক্সবাজার শহরে ১১ টি মামলার পলাতক আসামী আমির খান (২২ ) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভোর ৫ টায় সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    নিহত আমির শহরের বিজিবি ক্যাম্পের সাবমেরিন ক্যাবল সংলগ্ন ফরেষ্ট গেইট সংলগ্ন বশরত করিম প্রকাশ ঝুনু ড্রাইভারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, হত্যা প্রচেষ্টা সহ নানা আইনে ১১ টি মামলা রয়েছে। সে সদর থানার জি.আর ১৯৯/১৭, জি.আর ৯৪২/১৭, জি.আর ৯৪৫/১৭, জি.আর ৪৫০/১৮, জি.আর ৮৮৭/১৮, জি.আর ৫৫/১৯,জি.আর ৫৬/১৯, জি.আর ৬৪/১৯, জি.আর ৬৫/১৯,জি.আর ১৭৯/১৯, জি.আর ২২৯/১৯ ও জি.আর ২৫০/১৯ নম্বর মামলার আসামী।

    পুলিশ সূত্র জানায়, আমির খান শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তবে কে বা কারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

    কক্সবাজার সদর থানার ওসি খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তারপরও কারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিএম/ইসলাম/রাজীব..