ক্রীড়া ডেস্ক : ক্রিকেট কি তাহলে তার স্বর্ণযুগটা পেছনে ফেলে এসেছে? এমন প্রশ্ন এবার আবার উঠতেই পারে। বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান-বোলাররা অবসর নিয়ে ফেলেছেন, এমন কথা বলা হয়ে থাকে প্রায়শই। ‘রেকর্ডের বরপুত্র’ কথাটা ব্যবহার করা যায় এমন ক্রিকেটার এখন আছেন কমই।
আসন্ন বিশ্বকাপে এবার প্রায় সব দলই তরুণ। অভিজ্ঞতা বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশই। একাধিক বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারও খুব বেশি নন। এই কারণেই কিনা, ক্রিকইনফোর সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশে জায়গা পাননি কোনো বর্তমান ক্রিকেটার।
সম্প্রতি বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা একাদশ প্রকাশ করে ক্রিকেটের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো (যা একাধারে ক্রিকইনফো হিসেবেও পরিচিত)। আর সেই একাদশে জায়গা পাওয়া সব ক্রিকেটারের গায়েই লেগেছে ‘সাবেক’ তকমা, অর্থাৎ এদের প্রত্যেকেই খেলোয়াড়ি জীবন থেকে ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছেন।
ক্রিকইনফোর বাছাই করা সেই একাদশের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতা দলনেতা ইমরান খান। একাদশে ওপেনারের দায়িত্ব পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আরও রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।
অলরাউন্ডার ইমরানের পাশাপাশি একাদশে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ও ইমরানের স্বদেশী ওয়াসিম আকরাম। দুই কিংবদন্তী স্পিনার- অস্ট্রেলিয়ার লেগি শেন ওয়ার্ন ও শ্রীলঙ্কার অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা রয়েছেন স্পেশালিষ্ট পেসার হিসেবে।
একনজরে ক্রিকইনফোর বাছাইকৃত সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশ-
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (উইকেটরক্ষক), শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, ভিভ রিচার্ডস, কুমার সাঙ্গাকারা, ইমরান খান (অধিনায়ক), ল্যান্স ক্লুজনার, ওয়াসিম আকরাম, শেন ওয়ার্ন, মুত্তিয়া মুরালিধরন, গ্লেন ম্যাকগ্রা।
বিএম/রনী/রাজীব