তাড়াশে ধান কাটা শুরু : ব্যস্ত কামার শিল্পী

    কাস্তে তৈরিতে ব্যস্ত কামার

    তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : শস্য ভান্ডার খ্যাত তাড়াশে ইরি-বোরো ধান কাটা শুরুর সাথে সাথে ব্যস্থতা বেড়েছে কামার শিল্পীদের। ধান কেটে ঘরে তোলার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে এলাকার কৃষক। ইতিমধ্যে পাবনা সহ আশে-পাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার ধান কাটা শ্রমিক তাড়াশের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।

    ধান কাটার কৃষকের হাতিয়ার কাস্তে। এই কাস্তে তৈরী করেন কামার শিল্পীরা। গত ১ মাস থেকেই তাড়াশের লোহার কামাররা বিরামহীন ভাবে কাস্তে তৈরী করছে। কামাররা সারা বছর দা, কুড়াল, খোন্তা, বটি, শাবল, হাসুয়া, কোদাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদী তৈরী করলেও বোরো মৌসুম এলেই সব ফেলে কাস্তে তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় তাদের।

    সরেজমিনে, উপজেলার নওগাঁ ,বিনসাড়া, গুল্টা, বারুহাস, উলিপুর সহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা যায়, কামারের দোকানে ধান কাটা শ্রমিক ভির করছে কাস্তে কিনতে ও ধার কাটাতে। প্রকার ভেদে প্রতিটি কাস্তে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ২৫০ দরে। আবার অনেকে পুরাত কাস্তে ধার দিয়ে নিচ্ছেন।

    পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার কাঠেঙ্গা গ্রাম থেকে আশা শ্রমিক সরদার মো. রহমত আলী জানান, আমার দলে ১৫ জন ধান কাটা শ্রমিক এসেছেন। প্রায় ১ মাসের মত সময় তাড়াশ উপজেলার বিনসাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর মোল্লার বাড়িতে অবস্থান করে ধান কাটব।

    তিনি আরো জানান, এ মৌসুমে এত চাপ পরে যে প্রতি সপ্তাহে কাস্তে কামারের কাছ থেকে ধার দিতে হবে। নওগাঁ গ্রামের কামার শিল্পী প্রভাত কর্মকার ও বিনসাড়া গ্রামের কামার শিল্পী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আধুনিকতার ছোয়াতে আগের মত কামার শিল্পের জৌলস নেই। সারা বছরে কোন রকমে ব্যবসা চলে। তবে প্রতি বছর বোরো মৌসুম এলেই ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বোরো মৌসুমের ১ মাসের ব্যবসায় গত কয়েক মাসের আয় হবে।

    বিএম/প্রদীপ/রাজীব..