নুসরাত হত্যা : উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ‍রুহুল আমিন আটক

    বিএম ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় আটক করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ‍ও সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ- সভাপতি রুহুল আমিনকে।

    শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে তাকে সোনাগাজীর তাকিয়া বাজার থেকে আটক করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনেভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।

    পিবিআই’র চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদ ইকবাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে তাকে আটক করেছি। এর আগে একাধিক আসামির জবানবন্দিতে তার নাম এসেছে। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।’

    ফেনী পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রুহুল আমিনকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।’

    পিবিআই ও আদালতের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত রবিবার গভীর রাতে মামলার আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের জবানবন্দিতে এ ঘটনায় রুহুল আমিনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানা যায়। জবানবন্দিতে ১৩ থেকে ১৪ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও এ ঘটনায় নামে-বেনামে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ জন জড়িত।

    আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে দুই আসামি পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। এতে মোট ২৫ থেকে ২৬ জনের সম্পৃক্ততার কথা ওঠে আসে। সবার নাম বলতে পারেনি তারা। এর সঙ্গে বাইরে থেকে যুক্ত অনেককে চিনতেন না তারা। ঘটনার পর শাহাদাত হোসেন শামীম মোবাইল ফোনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি রুহুল আনিকে ফোনে ‘কাজ হয়ে যাবার’ ম্যাসেজ জানায়।

    এ সময় রুহুল বলেন, ‘আমি জানি। তোমরা সরে যাও।’ নির্দেশ পাওয়ার পর আরো দুই একদিন তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এরপর নুরু ময়মনসিংহের ভালুকা ও শামীম মুক্তাগাছায় চলে যায়। একই সঙ্গে শুরু হয় একে আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা। এটি সমন্বয় করেন ওসি মোয়াজ্জেম ও রুহুল।

    বিএম/রনী/রাজীব

    আরো খবর:: নুসরাত হত্যার আসামী কাউন্সিলর মকসুদকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার