বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোট চলছে

    বিএম ডেস্ক : তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের নেতা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।

    শনিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

    নির্বাচন শুরুর পরপরই এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমরা দু’জন এজেন্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।

    মোট ৩৫টি পরিচালক পদের মধ্যে চট্টগ্রামের নয়টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেতা নির্বাচিত হওয়ায় শুধু ঢাকার মোট ২৬টি পরিচালক পদের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এসব পদের জন্য ৪৪ জন লড়াই করছেন। এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদের ২৬ জন ও স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।

    পরবর্তীতে নির্বাচিত পরিচালকরা বিজিএমই’র সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত পর্ষদ ২০১৯-২১ মেয়াদ সময়ে নেতৃত্ব দেবেন।

    নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্বে আছেন এটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

    ২০১৫ সালে বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করে। এরপর থেকে আর নির্বাচন না হয়ে তিন ধাপে এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

    এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে গড়ে ওঠে ‘স্বাধীনতা পরিষদ’; তারা সমঝোতার মাধ্যমে না করে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করার দাবি তোলে। যার আহ্বায়ক হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। নানা চাপ উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ প্রার্থী।

    নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের যৌথ প্যানেল জয়ী হলে ফোরামের লিডার হিসেবে প্রথম বিজিএমইএর নারী সভাপতি হবেন রুবানা হক। রুবানা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী।

    বিএম/রনী/রাজীব