রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত

    বিএম ডেস্ক : রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছে। শুরুতে কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা পরিস্কারভাবে জানা না গেলেও প্রত্যক্ষদশীরা জানিয়েছে, কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ওই ছাত্রী নিহত হয়।

    এদিকে, সহপাঠীর মৃত্যুর খবরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ভিড় জমিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ঘাতক কাভার্ড ভ্যান চালক ও উবার রাইডারের বিচারের দাবি জানান।

    নিহতের নাম ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১)। লাবণ্য শ্যামলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরের হরিপুরে।

    জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সামনে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকও আহত হয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

    পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মেয়েটি উবার মোটোতে রাইড নিয়েছিল। দুর্ঘটনায় উবার চালক সুমন আহত হলেও পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার আগে সে হাসপাতাল থেকে চলে যায়।

    তিনি বলেন, আমরা রাইডারকে খোঁজার চেষ্টা করছি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। উবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ঠিকানা পাওয়া গেছে। সে আদাবরে থাকে। আমরা তাকে ট্রেস করার চেষ্টা করছি।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, শ্যামলীর বাসা থেকে বাইকে লাবণ্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছিলেন। পথে হৃদরোগ হাসপাতালের পাশের রাস্তায় একটি বেপরোয়া কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে লাবণ্য ও উবার চালক আহত হন। পরে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হলে লাবণ্য মারা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন উবার চালক।

    শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তাও বিস্তারিত জানা যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। আমরা উবার চালক ও কাভার্ডভ্যান চালককে খুঁজছি।

    বিএম/রনী/রাজীব