চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় হাত পা বেঁধে ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনার মূল ধর্ষক কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল ইসলাম (২৭) নিহত হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ক্ষুদেবার্তায় তথ্যটি নিশ্চিত করে তাদের সাথে বন্ধুকযুদ্ধের পর তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের দাবী করছে।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় হাত পা বেঁধে ছাত্রীকে ধর্ষণকারীর সে ধর্ষক সাইফুলে সাথে র্যাব’র গুলিবিনিময়ের ঘটনাটি ঘটে।
তথ্যটি নিশ্চিত করে র্যাব ৭ এর সহকারি পরিচালক মিডিয়া মাশকুর রহমান।
তিনি বলেন, ধর্ষক সাইফুল গত ১২ এপ্রিল দুপুরে তার মালিকানাধীন কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে পলাতক ছিল।
সোমবার ভোরে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে সাইফুল ও তার বাহিনীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। র্যাব’ও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে বন্ধুকযুদ্ধ থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষক সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং ২ টি অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব-৭ এর টহল দল।
লাশ উদ্ধারের পর লোহাগাড়া পুলিশের সহায়তায় চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন র্যাব’র এ কর্মকর্তা।
নিহত সাইফুল ইসলাম (২৭) উত্তর আমিরাবাদ পূর্ব মুহুরি পাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে। ওই এলাকায় তার মালিকানাধীন সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করত ধর্ষিতা ছাত্রীটি।
গত ১২ই এপ্রিল বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে সেই ছাত্রীর বাসায় গিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শিক্ষক সাইফুল। ছাত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছে মেয়েটি।
পরে ছাত্রীর মা ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করলে কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে অভিযুক্ত সাইফুল পালিয়ে যান। আজ সোমবার র্যাবের সাথে কতিথ বন্ধুকযুদ্ধে সাইফুল নিহত হয়।
বিএম/রাজীব…