শিশুর চোখ পরীক্ষা করাবেন কেন?

বিএম ডেস্ক : অনেকের ধারণা, শিশুর ছোটবেলায় চোখের তেমন কোনো সমস্যা থাকে না। তবে এ ধারণা মোটেও সঠিক নয়। ছোট সময়ে সাধারণ আমরা শিশুর চোখ পরীক্ষা করাই না। বেশিরভাগ বাবা-মা এই বিষয়টি মেনে চলেন না। কারণ ছোট শিশু নিজে থেকে অনেক কিছুই বলতে পারে না।তাই অভিভাবকেরা খেয়াল করে দেখেন না যে তার সন্তানের চোখের সমস্যা রয়েছে।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে,বিশ্বে প্রায় ৫০ জন শিশুর মধ্যে একজন অ্যাম্বলিওপিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অ্যাম্বলিওপিয়া হচ্ছে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির চেয়ে চোখের জ্যোতি কম থাকা বা দৃষ্টিশক্তি দূর্বল। বিশেষ করে যেসব শিশুরা ছোটবেলা থেকে চশমা পরে তাদের প্রতি যত্ন নেয়া বেশি জরুরি। যেসব শিশুদের বই পড়া ও টিভি দেখার অভ্যাস আছে তাদের দূরত্ব বজায় রেখে এসব করতে হবে।

শিশুদের চোখের রোগের বিষয়ে বন্ধবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম শীষ রহমান বলেন, শিশুদের বিভিন্ন ধরনের চোখের রোগ হতে পারে যেমন-অ্যাম্বলিওপিয়া, কনজাংটিভাইটিস, আঞ্জনি, অশ্রুগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখের পাতা না খোলা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, রাতকানা রোগ, কালার ব্লাইন্ডনেস ইত্যাদি রোগ হতে পারে।

তিনি বলেন, শিশুদের ২ থেকে ৩ বছর বয়সে চোখ পরীক্ষা করা উচিত। শিশুর চোখে যদি কোনো সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর চোখে সমস্যা আর যদি তা পরীক্ষা না করার তবে আপনার শিশুর এই সমস্যা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। এমনি কি আপনার শিশু চিরদিনের জন্য হারাতে পারে চোখে আলো। শিশুর চোখের সমস্যা কী বংশগত এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক জানান, অ্যাম্বলিওপিয়া, গ্লুকোমারের কিছু রোগ আছে যা বংশগত।তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই। চিকিৎসা করলে এসব রোগ ভালো হয়। তবে অবশ্যই চোখের যত্ন নিতে হবে।

যেভাবে যত্ন নিলে ভালো থাকবে চোখ

প্রতিদিন পানি দিয়ে ধুয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া খাবার হিসেবে মাছ, ডিম ,বেশি ফল সব্জি খাওয়া ভালো। অনেকে চোখে লেন্স পড়েন যা ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া নিয়ম মেনে চশমা ব্যবহার করতে হবে। যে কোনো সমস্যা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিএম/রনী/রাজীব