কংগ্রেসের সভাপতি থাকছেন রাহুল গান্ধী,পদত্যাগ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি

    সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফার প্রস্তাবে সায় দেয়নি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। যে কারণে আপাতত রাহুলই কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে থাকছেন।

    ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান প্রতিন্দ্বন্দ্বী রাহুল গান্ধী। ফল ঘোষণার পর এক প্রেসব্রিফিংয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, দেশের মানুষের রায়কে স্বাগত। নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা। পরাজিতদের বলছি ভয় পাবেন না। এটা দুই দলের মতাদর্শের লড়াই। আমরা ঘুরে দাঁড়াব।

    ভারতীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, ওইদিনই দলের সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাহুল। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতে। বিশেষ করে কংগ্রেসে।

    এদিকে, রাহুলের ইস্তফার কথা শুনেই দলের নবীন নেতারা দিল্লি আসতে শুরু করেছেন। তাঁরা চান, রাহুল যাতে কোনোভাবেই ইস্তফা না দেন। কারণ, তাঁরা মনে করছেন, রাহুল জেদ ধরে থাকলে ইস্তফা দিয়েই দেবেন।

    সূত্রের খবর, দলের ভরাডুবির জন্য নিজের দায় স্বীকার করে নিয়ে বৈঠকে সকলের কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাহুল। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছাকে সরাসরি খারিজ করে দেন দলের সামনের সারির নেতারা।

    কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা দাবি করেছেন, রাহুল পদত্যাগ করেননি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির তরফ থেকেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা এখনও করা হয়নি।

    রাহুল কি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না কি ওই পদেই থাকবেন, লোকসভার ফল বেরনোর পর থেকেই এ নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। গোটা রাজনৈতিক মহলে এ দিন সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় ছিল রাহুলের পদত্যাগের বিষয়টি। কিন্তু সেই জল্পনায় আপাতত দাঁড়ি টানল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।

    ৫৪২ আসনের লোকসভার নির্বাচনে একক দল হিসেবে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গীরা ৫১ এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ৫২টি আসন।

    বিএম/রনী/রাজীব