৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে সারা দেশে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।
এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ-এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে তিনি বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সকল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের ওড়িষা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
পরবর্তী সময়ে ওড়িষা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ক্ষতির আশঙ্কায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌরুটের সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিএম/রনী/রাজীব