চট্টগ্রামে বুবলি হত্যা : তিন আসামীর রিমান্ড

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকায় ভাইকে না পেয়ে বোন বুবলি আক্তারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি শাহ আলম ওই রাতেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও এর আগে পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরো দু আসামিকে গ্রেফতার করেছিল।

    রবিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ হত্যা মামলার যে দুজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে তারা হলেন, বাকলিয়া থানার হাজী ওমদা মিয়ার বাড়ীর মৃত জালাল আহমেদ এর ছেলে মো: মুছা (৪০) ও একই এলাকার সোবহান সওদাগরের বাড়ীর মৃত আমিন শরীফ এর ছেলে মোহাম্মদ কবির (৪২)। এর আগে একই ঘটনায় নূর আলম ও নবী হোসেনকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নূরনবী, মুছা ও আহমদ কবিরকে সোমবার সকালে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। মহানগর হাকিম আল ইমরান শুনানি শেষে প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, রবিবার রাতে গ্রেফতার দুজনসহ গ্রেফতারকৃত ৪ জনই আলোচিত চাঞ্চল্যকর বুবলি হত্যা মামলার এজাহারনাভুক্ত আসামী। এর মধ্যে তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    উল্লেখ্য, শাহ আলম নামে এলাকার এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে হাছান নামে এক যুবকের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে হাছানকে খুঁজতে শাহআলম গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাছানের খালার বাসায় হানা দেয়। এসময় হাছানকে না পেয়ে খালাতো ভাই রুবেলকে গুলি করার চেষ্টা করলে তার বোন বুবলি বাধা দেয়। এসময় সন্ত্রাসী শাহ আলম বুবলিকে গুলি করে দেয়। বুবলী আক্তার কিছু দিন আগে শশুর বাড়ি থেকে বাকলিয়ার বাবার বাসায় বেড়াতে আসে।

    বুবলির বাবা নোয়া মিয়া শনিবার রাতে বাকলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এজাহারে নাম থাকা ছয় আসামি হলেন- শাহ আলম, তার ভাই নূর আলম (২৫), নবী হোসেন (৬০), মো. জাবেদ (২৪), মো. মুছা (৪০) ও আহমদ কবির (৪২)। এঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী শাহ আলম গ্রেফতার হওয়ার পর শনিবার ভোর রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে পারলেও আসামি জাবেদ এখনও পলাতক রয়েছে।

    বিএম/রাজীব..