বিবাহিত হয়েও ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেয়েছেন যারা

    ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না। এর পরেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশ কয়েকজন বিবাহিত নেতাকর্মী স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

    পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, বিবাহিত হয়েও অনেককে পদ দিয়েছেন শোভন-রাব্বানী। এজন্য পদ পাওয়া ওইসব নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

    প্রমাণ হিসাবে পদবঞ্চিতরা যাদের নাম জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি পদ পাওয়া সোহানী তিথি, সাংস্কৃতি বিষয়ক উপ সম্পাদক পদ পাওয়া আফরিন সুলতানা লাবণী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ সম্পাদক পদ পাওয়া রুশী চৌধুরী, সহসম্পাদক পদ পাওয়া আনজুমান আরা আনু ও সামিহা সরকার সুইটি।

    এরা সবাই বিবাহিত বলে জানান তারা।

    এছাড়াও সহসভাপতি ইশাত কাসফিয়া ইরাও বিবাহিত বলে অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।

    গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারাকে লঙ্ঘন করে এসব নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন পদবঞ্চিতরা।

    এ বিষয়ে শামসুন্নাহার হলের সাধারণ সম্পাদক জেয়াসমিন শান্তা ফেসবুকে লেখেছেন, নারীদের বিবাহিত হওয়া ও আন্ডারগ্রাউন্ড প্রটোকল দেয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে বড় পোস্ট পাওয়ার মূলমন্ত্র।

    সোমবার বিকালে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।

    সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন ৬১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ১১ জন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক সব সম্পাদক এবং সহ সম্পাদক ও উপসম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।

    এর আগে, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগ ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজেরা কমিটি করতে ব্যর্থ হলে ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক অর্পিত ক্ষমতাবলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।

    তবে কমিটির ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় দু দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকসুর তিন নেতাসহ অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন।

    হামলায় আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সদস্য ও ডাকসুর বর্তমান সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, কবি সুফিয়া কামাল হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর আরেক সদস্য ফরিদা পারভীন, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বি এম লিপি আক্তারসহ কয়েকজন।

    বিএম/রনী/রাজীব