চট্টগ্রাম মেইল : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আজ রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর ইপিজেড ও কোতোলী থানা এলাকায় পৃথক ৪টি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে মোট ১৮টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শণ শেষে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পৃথক এসব অভিযানের নের্তৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অভিযান পরিচালনাকালে আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২ পণ্যের অন্তর্ভুক্ত এসিআই লবণ, মোল্লা লবণ, ওয়েল ফুড লাচ্ছা সেমাই, ডুডলস নুডলস ধ্বংস করা হয় পাশাপাশি রংদেয়া মাংস, হাইড্রোজ ও হাইড্রেজ মিশ্রিত জিলিপি ধ্বংস করা হয়। এপিবিএন, ৯ এর সদস্যবৃন্দের সহযোগিতায় এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আজকের ৪টি পৃথক অভিযানে ১১ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে কোতয়ালী থানার বক্সির হাট এলাকায় গরুর মাংসে টেক্সটাইল রং মিশ্রণ ও মূল্যতালিকা না টাঙানোর অপরাধে জমিরের মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে রংদেয়া মাংস ফেলে দেয়া হয়। মূল্য তালিকা না থাকায় কফিলের মাংসের দোকানকে ৫ হাজার ও একই অপরাধে বার আউলিয়া স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তাছাড়া আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২ পণ্যের অন্তর্ভুক্ত এসিআই লবণ, মোল্লা লবণ, ওয়েল ফুড লাচ্ছা সেমাই, ডুডলস নুডলস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় বক্সিরহাট এর মেসার্স বোয়ালখালি স্টোরকে ১০ হাজার, জেনুইন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে দুটি দোকান থেকে মোট ১৬৫ প্যাকেট বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়। একই এলাকার জেনুইন ব্রেড এন্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজকে মেঝেতে রেখে খাদ্যদ্রব্য (পাউরুটি) প্রক্রিয়া করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অদধদপ্তরের পরিচালিত নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযানে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ঈশান মিস্ত্রির হাট এলাকার আজাদের মাংসের দোকানকে ৩ হাজার, নজিরের মাংসের দোকানকে ১ হাজার, রুবেলের মাংসের দোকানকে ৩ হাজার, মঞ্জুরের মাংসের দোকানকে ১ হাজার, টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। একই এলাকার বিসমিল্লাহ্ ভাতঘর এন্ড ঝালবিতানকে হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলিপি প্রস্তুত করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইড্রোজ দেয়া জিলিপি ও খামির ধ্বংস করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
বিএম/রাজীব সেন..