মিঠাপুকুরে শসার বম্পার ফলনেও সঠিক দাম না পেয়ে হতাশ চাষীরা

    রংপুরের সবজির গ্রামখ্যাত মিঠাপুকুরে শশার বম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেতজুড়ে এখন শসার ছড়া ছড়ি। শুধুই শসা আর শসা ক্ষেত। চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে শসার ব্যাপক চাহিদা বাড়লেও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশায় ভুগছে চাষীরা।

    চাষীরা বলেন, রমজান মাসে ইফতারের খাদ্য তালিকায় অন্যান্য খাবারের সঙ্গে প্রায় সবার প্লেটেই শসা থাকে। রমজান জুড়ে বাজারে শসার প্রচুর চাহিদা। কিন্তু প্রতিবছর মণপ্রতি যে দর ছিল, এবার তা নেই।

    শসা চাষ

    সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মিঠাপুকুর উপজেলায় মোট ৭০০ হেক্টর কৃষি জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও শুধু ৩০০ হেক্টর জমি জুড়ে এখন শসার ছড়াছড়ি। শসার বাম্পার ফলনের পরও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ চাষীরা।

    মিঠাপুকুর উপজেলায় ধান, গম ও ভুট্টার পরিবর্তে এখন সবজি ও শসা চাষে বেড়েছে। তবে বাধ্য হয়ে কমদামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

    উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের চাষী কামরুজ্জামান বলেন, গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে শসা আবাদ করে আয় করেছেন ৭০ হাজার টাকা।

    তিনি জানান, ‘এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে শসা আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। চল্লিশ হাজার মত খরচ হয়েছে। কিন্তু লাভের চেয়ে এবার লোকসানের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।’ তার মতোই রানীপুকুর বউ বাজারের সাহেবুল ইসলাম ও রসুলপুরের লিয়াকত মিয়াসহ বেশ কয়েকজন চাষী একই কথা জানান।

    চাষী বলেন, প্রতিমণ শসা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারলে লাভ না হলেও লোকসানের বোঝা হালকা হবে। বর্তমানে রংপুরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি শসা ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পাইকাররা এই শসা চাষীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি দরে (২০০-২৮০ টাকা প্রতিমণ) কিনছেন।

    মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণের চেষ্টা চলছে। সবজির বাজার দর, বিপণন, সরবরাহ ও সবজি সংরক্ষণে কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করে যাচ্ছে।

    বিএম/সোহেল/রনী