সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

    ঈদে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ।ব্যস্ত নগরবাসী স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে কদিন আগে থেকেই। সড়ক, রেলসহ সব পথে শুক্রবার (৩১ মে) সকাল থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। সদরঘাট টার্মিনালেও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

    এদিকে, যাত্রীরা জানান, দিনে যানজট এড়াতে ভোর রাতে টার্মিনালের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন অনেকে। রাস্তা ফাঁকা থাকায় খুব অল্প সময়ে টার্মিনালে এসে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সদরঘাট নৌ টার্মিনালে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। টার্মিনালে প্রবেশ পথে টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। পন্টুনগুলোতে যাত্রীদের জটলা। ক্ষণিক সময়ের মধ্যে লঞ্চযাত্রী বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। তবে যত তাড়াতাড়ি যাত্রী বোঝাই করা হোক না কেন লঞ্চগুলো গ্যাংওয়ে ছাড়তে সময় নিচ্ছে। কারণ প্রতিটি লঞ্চের পিছনে লঞ্চের জটলা রয়েছে।

    সদরঘাট ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার (৩১ মে) ভোর ৬টা থেকেই যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বেলা বাড়ার সাথে সঙ্গে চাপ কিছুটা কমলেও যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকাল নাগাদ চাপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    সদরঘাটে চাঁদপুর টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তা হেদায়েতউল্লাহ বলেন, সকাল থেকে ইতোমধ্যে চাঁদপুরের উদ্দেশে নয়টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আরও লঞ্চ ঘাটে রয়েছে। যাত্রীদের পরিপূর্ণ হলেই লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে। বিকাল নাগাদ চাপ আরও বাড়বে।

    অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কাউকে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে দেব না। এ বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এমন কোন অভিযোগ পাইনি। তবে গার্মেন্টস ছুটি হলে যাত্রীদের চাপ অনেক বাড়বে, তখন কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা প্রস্তুত আছি।

    এদিকে চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন, ‘তারা অন্যান্য সময়ের মতোই ভাড়া নিচ্ছেন, কোন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন না। যাত্রীরাও জানিয়েছেন কোন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।

    চাঁদপুরগামী লঞ্চ এমভি মিতালির টিকেট বিক্রেতা স্বর্ণদ্বীপ সাহা বলেন, আমরা আগের মতোই ভাড়া নিচ্ছি। হাটুরিয়ে পর্যন্ত ভাড়া ১৭০ টাকা ছিল, এখনো সেই ভাড়াই নেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে গার্মেন্টস ছুটির পর থেকে চাপ আরও বাড়বে।

    চাঁদপুরগামী লঞ্চের যাত্রী সালাহউদ্দিন বলেন, ব্যবসার অবস্থা খুব একটা ভালো না। তাই আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ভাড়া আগের মতোই আছে। কোন বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না।

    বিআইডব্লিউটিএ’র তথ্য মতে, ঘাটে এখনো প্রায় অর্ধশত লঞ্চ রয়েছে, সন্ধ্যায় আরও আসবে।

    যাত্রীতে পরিপূর্ণ হলেই ধাপে ধাপে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে । পোশাক কারখানা ছুটি হলে আগামীকাল যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে বলে জানা গেছে।

    বিএম…