সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকেও সভাপতি হতে দেবেন না

    কংগ্রেস নেতাদের হাজার অনুনয় বিনয়ের পরও কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দাবিতে অনড় রয়েছেন রাহুল গান্ধী। এমনকি গান্ধী পরিবারের কেউ এ পদে থাকবেন না সেটাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

    লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার জেরে গতকাল সকালে ওয়ার্কিং কমিটিতে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান রাহুল।তবে তার দাবি খারিজ করে দেয় কংগ্রেসের ওয়াকিং কমিটি। এতে স্বস্তি ফিরে আসে দলের নেতাদের মধ্যে।

    তবে আন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগের সিদ্ধান্তেই অটল আছেন রাহুল। শুধু তা-ই নয়, সাফ বলেছেন, তার বদলে যেন প্রিয়াঙ্কা গাঁন্ধী বঢরার নামও সভাপতি পদে ভাবা না হয়। গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।

    জানা যায়, লোকসভায় বিপর্যয়ের পর রাহুল আর কোনও আঙুল তোলার সুযোগ দিতে চাইছেন না। গোটা বৈঠকে সনিয়া গান্ধী একটিও কথা বলেননি। কিন্তু রাহুল বলেন, তিনি দলের জন্য অন্য যে কোনও কাজ করবেন। লড়াই জারি রাখবেন। সংসদের নেতাও হতে পারেন। আরও তিনটি বিকল্প দিয়েছেন। কিন্তু সভাপতি থাকবেন না।

    এ সময় প্রিয়াঙ্কা বলেন, বিজেপি এটাই চায়, রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ থেকে সরে যান। রাহুল ইস্তফা দিলে বিজেপিরই ফাঁদে পা দেওয়া হবে।

    প্রবীন নেতা পি চিদম্বরম কেঁদে ফেলে বলেন, সবে দক্ষিণ ভারত থেকে রাহুল জিতে এসেছেন। রাহুল ইস্তফা দিলে দক্ষিণের সমর্থকরা আত্মহত্যাও করতে পারেন।

    নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছেন, পরিবারের বাইরে কংগ্রেস কিছু ভাবতে পারে না। এ কারণেই মূলত রাহুলের এই সিদ্ধান্ত।

    কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, দলের সভাপতির পাশাপাশি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ। আর ওয়ার্কিং কমিটি আজ যে প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাশ করেছে, তাতে স্পষ্ট লেখা আছে— রাহুল ইস্তফা দিতে চেয়েছেন, কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটি খারিজ করেছে। কমিটির আবেদন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁরই নেতৃত্ব দরকার। সে কারণে কমিটি রাহুল গান্ধীকেই সময় বেঁধে সংগঠনের দ্রুত আমূল পরিবর্তন ও প্রসারের অধিকার তুলে দিয়েছে।

    এদিকে, রাহুলের ইস্তফা ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন নবীন নেতারা। অনেকে রাহুলের রাড়ির সামনেও ধর্না দিয়েছেন। তাদের একটাই দাবি রাহুল যেন ইস্তফা না দেন।

    বিএম/রনী/রাজীব