১৩ তম স্প্যানের মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ১৯৫০ মিটার

    পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে বসানো হলো ১৩ তম স্প্যান। এরফলে দৃশ্যমান হলো, সেতুর এক হাজার ৯৫০ মিটার।

    শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়।

    এর আগে ১২টি স্প্যানের ৯টি জাজিরা প্রান্তে বসানো হয়। একটি স্প্যান বসানো হয়েছে মাঝনদীতে। আর মাওয়া প্রান্তে আলাদাভাবে বসানো আছে ২টি স্প্যান। এখন সেগুলোর একটির পাশেই যোগ করা হয় নতুন স্প্যানটি।

    স্প্যানটি শুক্রবার (২৪ মে) বসানোর কথা থাকলেও নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় স্প্যানবাহী ক্রেনটি শুক্রবার সকাল ৮টায় চালু করা সম্ভব হয়নি। ৩ ঘণ্টা দেরিতে স্প্যান নিয়ে সেটি নির্ধারিত দুই পিলারের দিকে রওয়ানা দেয়। দুপুরে ২টার সময় ক্রেনটি নোঙ্গর করা হলেও স্প্যান বসানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে ছিল না। এতে কাজ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

    সেতুর জাজিরাপ্রান্তে ১৩৫০ মিটার ও মাওয়াপ্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর ৫-এফ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো শেষ হওয়ায় সেতুর মোট ১৮০০ মিটার আগেই দৃশ্যমান আছে। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।

    এ ছাড়া সেতুতে রোডওয়ে স্লাব ও রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ চলছে জোরেসোরে। এরই মধ্যে সেতুতে মোট ৩১২টি রেলওয়ে স্লাব ও ১৬টি রোডওয়ে স্লাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। আর বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০০০টি রেলওয়ে স্লাব ও ৮০০টি রোডওয়ে স্লাব।

    জানা যায়, পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, আর নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ। সেতুর মূল ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টি পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ২৬টি পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী।

    এ ছাড়া মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ছয়টি পিলারের কাজ শেষ হবে। আর বাকি ১১টি পিলারের কাজ চলমান। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩টি স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

    বিএম/রনী/রাজীব